‘সব জানালা বন্ধ করে চলে রান্না, রাতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ’
Published: 15th, February 2025 GMT
ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একটি আবাসিক ভবনে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধের মধ্যে এক শিশুকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর নাম সোয়ায়েদ। বয়স চার বছর।
অগ্নিদগ্ধ ১০ জন হলেন সূর্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল রানা (৩৮), সুমন রহমান (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭) ও সুরাহা (৩)। তাঁদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা চলছে।
দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মোহাম্মদ শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, মশার উপদ্রব থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে বাসার সব কটি জানালা বন্ধ ছিল। বিকেল থেকে পিঠা বানানোসহ অন্যান্য রান্না করা হয়। রাত ৯টার সময় আবারও চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ ওই কক্ষে আগুন ধরে যায়। সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।
আশুলিয়ায় অগ্নিদগ্ধ ১১ জনের কয়েকজন আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সুমন রহমান তাঁর দুই সন্তান নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পেশায় তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। পবিত্র শবে বরাতে তাঁর বাসায় আসেন বড় ভাই সোহেল, বোন শিউলি, তাঁর স্বামী, বোনের দুই সন্তান, সুমনের মা সূর্যবানু এবং সুমনের ফুফু জোহরা। বিকেল থেকে বাসায় রান্না চলে। তবে রাত ৯টার পর বাসায় আগুন ধরে যায়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শিশু সোয়ায়েদকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্য দগ্ধরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স মন র
এছাড়াও পড়ুন:
টিপকাণ্ড: লতা সমাদ্দার, সুবর্ণা মোস্তফাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার, তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা এবং শোবিজের ১৬ তারকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে চাকরিচ্যুত সেই কনস্টেবল নাজমুল তারেক মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলেন নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌহিদ খান এ তথ্য জানান।
মামলায় আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা, নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার, কুসুম সিকদার। এছাড়া শোবিজের আরো বেশ-কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
জামালপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালে টিপ পরা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের সময় এসব তারকারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের মানহানি ঘটিয়েছেন। তারা সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য দিয়ে নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যার ফলে তার পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২ এপ্রিল রাজধানীর ফার্মগেটে একটি বাইক লতা সমাদ্দারের পায়ে লাগার জেরে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন-এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন তিনি। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা লতার পক্ষ নিয়ে টিপ পরা ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে অংশ নেন।
ঘটনার জেরে নাজমুল তারেক চাকরি হারান। পরে তিনি আইনি লড়াইয়ে যান এবং চাকরি ফেরতের আবেদনও করেন। বর্তমানে সেই মামলা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেছেন তিনি।
ঢাকা/এম/এসবি