মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে একটি কবরস্থানের পৃথক ৫ কবর থেকে ‘কঙ্কাল’ চুরির ঘটনা ঘটেছে। জেলার শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব বেঁজগাঁও কবরস্থানে শুক্রবার সকালে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে কবরস্থান পরিষ্কার করতে গেলে স্থানীয় মুসল্লিরা কবর খোঁড়া দেখতে পায়।

পূর্ব বেঁজগাঁও কবরস্থানের সভাপতি আবুল কালাম কানন জানান, সাধারণত পবিত্র শবেবরাতের রাতে মুসল্লিরা কবরস্থান জিয়ারত করতে যান। এজন্য শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পূর্ব বেঁজগাঁও কবরস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে যান মুসল্লিরা। এসময় তারা পৃথক ৫ কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান।

জেলার শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ওই কবরস্থানের সভাপতির কাছ থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় সেখানে ৫ কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখা গেছে। ওই কবরগুলো থেকে খুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কবর থেকে খুলিগুলো চুরি করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কবর কবরস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ঘটনাটি ঘটে। বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৮) ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মহরম আলীর ছেলে জীবন আলী (১৭)। তারা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত নেতার মৃত্যু

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের মামলা 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলায় বিএনপির দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে আছেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেন। অপর পক্ষে রয়েছেন মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়া। একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের ভেতরের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। এরপর বিএনপি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হন।

জমির ও ইমাম হোসেন এবং মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনাম খাঁ বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত। এই ঘটনার জন্য দায়ী তারা যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন এবং তাদের দাওয়াত দিয়ে শহীদ মিনারে এনেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকগুলােই সুযোগ পেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখে প্রত্যেক আওয়ামী লীগের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষেয়ে জানতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার মোবাইলে কল করা হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।

বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল আগে পরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনারগাঁয়ে কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
  • ভাষা শহীদদের প্রতি নাঃগঞ্জ গণ অধিকার পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন  
  • এবার কুয়েট ভিসির বাসভবনে তালা শিক্ষার্থীদের
  • ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রদল-গণ অধিকার পরিষদের কথা কাটাকাটি
  • চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি, ২ থানা ঘুরে মামলা 
  • শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২
  • মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ
  • আগস্টে শহীদ সুজয়ের লাশ তুলতে পরিবারের বাধা
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিকে বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা