২০১১ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন সাদিয়া আফরিন। ‘ডেয়ারিং লাভার’ সিনেমার আইটেম গানে কোমর দুলিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন।

পিরোজপুরের মেয়ে সাদিয়া আফরিন নাটকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে সিনেমায় কাজ করছেন না। এবার একুশে গ্রন্থমেলায় তার লেখা বই প্রকাশিত হয়। মিজান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত ‘ভালোবাসার জলছবি’ তার লেখা প্রথম উপন্যাস। ২০ নং প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাবে বলে জানান সাদিয়া।

সাদিয়া আফরিন বলেন, “প্রথম সব কিছুর সঙ্গেই আমাদের আবেগের সূক্ষ্ম একটা সুতো জড়িয়ে থাকে। অনুভূতির সেই সুর স্পর্শ করুক আমার লেখনীকে, ছুঁয়ে যাক পাঠকের মন। পেশাগত জীবনে আমি অভিনয়শিল্পী। এই জীবন সহজাতভাবেই স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি স্পর্শকাতর। অভিনয়ের সুবাদে এক জীবনে অনেক জীবন দেখার সুযোগ হয়েছে। আর সেইসব জীবন পর্যবেক্ষণ আমার লেখায় প্রতিনিয়ত রসদ যোগিয়েছে।”

আশা ব্যক্ত করে সাদিয়া আফরিন বলেন, “অন্তরালের ‘অ’ দেখাকে নিয়েই আমার এই উপন্যাস। আশা করছি, বইটি পাঠকের ভাবনার খোরাক যোগাবে। পাঠকের উৎসাহ পেলে নিয়মিতই লেখালেখি চালিয়ে যেতে চাই।”

ঢাকা/রাহাত/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফর ন

এছাড়াও পড়ুন:

এটিএম শামসুজ্জামানের প্রয়াণ দিবস

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পরপারে পাড়ি জমান। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতার আজ চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক বছর নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রয়াণ দিবসে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ভক্তরা।

১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের মাধ্যমে তার রুপালি জগতে পদচারণা শুরু হয়। এরপর ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন এটিএম শামসুজ্জামান। ‘জলছবি’-তে প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকারের কাজ করেন। শতাধিক চিত্রনাট্যের কাহিনি লিখেছেন বরেণ্য এই অভিনেতা।

প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করলেও ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমনি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে দশর্কের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই গুণী অভিনয়শিল্পীকে। টেলিফিল্ম, নাটকসহ রূপালি পর্দার নানা শাখায় সগৌরবে বিচরণ করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

‘বিয়ে মানেই স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া, আমি কারো দায়িত্ব নিতে চাই না’

সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘নে ঝা টু’

নাসির উদ্দিন পরিচালিত ‘আলফা’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ অভিনয় করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার সম্মাননা অর্জন করেন। ‘জলছবি’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘রামের সুমতি’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রে তাকে কৌতুক চরিত্রে দেখা যায়।

নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন এটিএম। খলনায়ক চরিত্রে অভিনীত তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’। এ ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘অচেনা’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘চোরাবালি’।

শাবনূর-রিয়াজ অভিনীত ‘এবাদাত’ নামের চলচ্চিত্রে ২০০৯ সালে প্রথম পরিচালক হিসেবে কাজ করেন এটিএম।

১৯৪৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তার বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এটিএম শামসুজ্জামানের প্রয়াণ দিবস