অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়। 

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.

) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেম সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত আছেন। 

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেবেন। এর আগে বুধবার সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার, যার সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র জন ত ক সরক র সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর হতে পারব: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যে সমস্ত জায়গায় সবাই একমত আছে তার ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা সেই দিকে অগ্রসর হতে পারব।’

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে হয়তো আলোচনা করব। আমরা বিবেচনা করব কীভাবে একজায়গয় আসতে পারি।’

স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন স্পষ্ট করতে পারব কমিশনগুলোর অবস্থান কী, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করব। তারই মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটায় অগ্রসর হবো।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যত দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এ কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই একপক্ষ। চেষ্টা করছি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আমাদের লক্ষ্য এক। কিন্তু পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। সেটা দূর করে, যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনকে দুর করা গেছে, সে ঐক্যের জায়গায় যেন পৌঁছাতে পারি এবং অগ্রসর হতে পারি। এখনও ঐক্য আছে, মতভিন্নতা আছে। সেই ঐক্যকে সুদৃঢ় করা এবং সংস্কার কার্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন।

এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের বেশিরভাগ জায়গয় এনডিএম একমত জানিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা সংস্কারগুলো বড়ভাবে দেখতে চাই। সংস্কারগুলোর মাধ্যমে জনবান্ধন সরকার ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিজম যাতে বাংলাদেশে দাঁড়াতে না পারে, সেই আওয়ামী লীগকে বাতিল করা এবং তাদের ফ্যাসিজমকে বাতিল করা বড় সংস্কার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা চায় বিএনপি
  • সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব
  • আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে: আলী রীয়াজ
  • জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর হতে পারব: আলী রীয়াজ
  • সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিল আরও দুই দল