মধুপুরে বাধার মুখে স্থগিত লালন স্মরণোৎসব হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি
Published: 15th, February 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মধুপুরে দুই সংগঠনের বাধার মুখে স্থগিত হওয়া লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া এ তথ্য জানান।
এর আগে গত বুধবার অনুষ্ঠানটি মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে হওয়ার কথা ছিল। হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের মধুপুর শাখার নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে ওই অনুষ্ঠান স্থগিত হয়। এ নিয়ে সমালোচনা হয়।
পরে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে লালন স্মরণোৎসব আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মধুপুর মিলনায়তনে করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে ইউএনও মো.
লালন স্মরণোৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান বর্ষ উপলক্ষে মধুপুর লালন সংঘ ১২ ফেব্রুয়ারি লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ আয়োজন করে। কয়েকটি ইসলামি দলের বাধায় অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও মধুপুরের সেনাক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মধুপুর হেফাজতে ইসলাম প্রতিশ্রুতি দেয়, অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা কোনো বাধা দেবে না। মধুপুর লালন সংঘ থেকে বিতর্কিত বক্তব্য, মতবাদ, তথ্য ও সংগীত উপস্থাপিত হবে না মর্মেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২৩ ফ ব র য় র অন ষ ঠ ন ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি এলাকার করিমবাজারে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তেই আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় দোকানের ভেতরের মালামাল ও মূল্যবান সামগ্রী কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হয়ে যায়, ফলে ছয়টি দোকানই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়েজ আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি তবে তদন্তাধীন রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। ইউএনও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকেও যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।