দেশ সেরা চিত্রনায়ক শাকিব খান ‘তুফান’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। এবার একই নির্মাতা ও প্রযোজকের ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় নাম লেখান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শাকিব খান আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ‘তুফান’ প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল ও নির্মাতা রায়হান রাফী। তারা ‘তাণ্ডব’র চুক্তিপত্রে সই করেন।
চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করছেন এর নির্মাতা। এটি আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে থাকছেন জয়া আহসান। যদিও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সত্যতা মেলেনি। তবে সংশ্লিষ্টরা কেউ বিষয়টিকে উড়িয়েও দিচ্ছেন না। সম্ভবত চুক্তিসইয়ের অপেক্ষায় আছেন তারা।
বিষয়টি সত্য হলে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার সুবাদে প্রায় এক দশক পর ফের জুটি হিসেবে দেখা যাবে শাকিব-জয়াকে। ২০১৩ সালে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি’ সিনেমায় অভিনয় তারা বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে এর সিক্যুয়েল (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি ২) করে সফল জুটির কবর রচনা ঘটে! এরপর আর একসঙ্গে দেখা যায়নি শাকিব-জয়াকে।
সূত্র বলছে, শুধু জয়া আহসানই নন; এই সিনেমায় থাকছেন আরেক নায়িকা চমক। জানা গেছে, অন্তত আরও দুইজন শীর্ষ নায়িকা যুক্ত হচ্ছেন ‘তাণ্ডব’-এ।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি...’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত রাইসুল বাড়িতেই ছিলেন। বিকেল পাঁচটার কিছু সময় পর তার ফোনে কল আসে। রাইসুল ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তির উদ্দেশে বলেন, “বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি।”
এই কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। এরপর রাত নয়টার দিকে কল দিলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ছেলের সাথে এই শেষদেখা ও কথা হয়েছিল ঝিনাইদহ শৈলকূপায় নিহত তিনজনের একজন রাইসুল ইসলামের মা রেহেনা পারভীনের।
নিহত রাইসুল ইসলামের (২৮) বাড়ি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রাম। তবে তার পৈতৃক বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড় গ্রামে। ২৬ বছর ধরে পিতামাতার সাথে নানার বাড়ি পিয়ারপুরেই থাকতেন। তার নানার নাম ইব্রাহীম সরদার। দুই মাস আগে রাইসুলের পিতা আরজেদ আলীর মৃত্যু হয়।
রাইসুলের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, রাইসুল কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা বলতে পারছেন না। তবে সম্প্রতি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল তার।
রেহেনা পারভিন বলেন, “একমাত্র ছেলে রাইসুল। রাইসুলের বয়স যখন আড়াই বছর, তখন আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর থেকে আমি বাড়িতে থাকা শুরু করি। গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করিয়ে ছেলেকে ঝিনাইদহ কে সি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পড়িয়েছি। এরপর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করে রাইসুল। বাড়িতেই থাকত, কোনো চাকরি বা ব্যবসা করত না। সম্প্রতি দৌলতপুর থেকে তার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা পায়। সেই টাকার মধ্যে ৭ লাখ টাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে দেয়। সেই টাকা ফেরত নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠের মধ্যে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ আলী, তার শ্যালক লিটন হোসেন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে শৈলকূপা থানা পুলিশ।
তবে, নিহত রাইসুলের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ নেই বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস