ভালোবাসা দিবসে ভারতের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের একটি পোস্ট রীতিমত ভাইরাল। এক নারীর সঙ্গে ছবি দিয়ে কবীর সুমন নিজেই লেখেন, ‘আমাদের ভ্যালেন্টাইন।’ সেই ক্যাপশন থেকেই শিল্পীর নতুন করে প্রেমে পড়ার জল্পনার সূত্রপাত, যা নিয়ে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম!

ভালোবাসা দিবসে সেই পোস্ট দেখেই অনুরাগীরা শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসিয়ে দেন শিল্পীকে। একদিন পর সেই পোস্ট নিয়ে মুখ খুললেন শিল্পী। সেই সঙ্গে পোস্টের নেপথ্যের কারণ ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি তাঁর ফ্রেমে ধরা দেওয়া নারীর পরিচয়ও দিয়েছেন খোদ কবীর সুমন।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনকে কবীর সুমনে জানালেন, ‘শারীরিকভাবে অসুস্থ। বার্ধক্যজনিত কারণে একা থাকা বারণ। বিছানা থেকে বাথরুম যাওয়া কিংবা সিঁড়ি দিয়ে হাঁটাচলা করার সময়েও লাঠির সাহায্য নিতে হয়। চিকিৎসকদের কড়া পরামর্শ, কাউকে না কাউকে সঙ্গে থাকতে হবে সবসময়। সিঁড়ি দিয়ে নামলেও তৎক্ষণাৎ ওঠা যাবে না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমতাবস্থায় রোজ কোনও ছাত্রী বা অন্য কেউ থাকেন আমার সঙ্গে। মৃন্ময়ী, কারা, সৌমীসহ ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে অনেকেই থাকেন। ওদের বাবা-মায়ের সঙ্গেও আমার পারিবারিক সম্পর্ক।’

ভালোবাসা দিবসের সেই পোস্টর বিষয়টি পরিস্কার করেছেন কবীর সুমন। তিনি বলেন, “ভালোবাসা দিবসে সৌমী আমার বাসায় ছিলেন। আমরা বারান্দায় গিয়ে ছবি তুলি এবং ‘আমাদের ভ্যালেন্টাইন ডে’ বলে একটা পোস্ট করি। সৌমী মোটেই আমার প্রেমিকা নন। অন্যান্যদের মতো উনিও আমার ছাত্রী, বন্ধু। আমার বাড়িতে প্রয়োজন হলে দেখভাল করার জন্য থাকেন। নতুন করে প্রেমে পড়ার খবর ভুয়া।”
 
শুক্রবার পোস্টে দেখা যায় সৌমীর কাঁধে হাত রেখে হাসিমুখে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন সুমন। সত্তরোর্ধ্ব শিল্পীর ভালোবাসা দিবসের পোস্টে নতুন করে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান অনুরাগীরা। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভরে যায় কমেন্টবক্স। এবার পোস্টের নেপথ্যের কারণ খোলসা করলেন কবীর সুমন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষকদল নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর অবৈধভাবে বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতিকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে। 

হামলার শিকার কৃষকদল নেতা আব্দুল করিম (৫০) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি। অপরদিকে, অভিযুক্ত মাহবুবুল হক চৌধুরী একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের চরমহিউদ্দিন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার কৃষকদল নেতা আব্দুল করিম অভিযোগ করে বলেন, “চর জুবলি ইউনিয়নে গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের প্রায় ৮০০ ঘর নির্মাণ করা হয়। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে ৪১টি ঘর নামে বেনামে মানুষের কাছে বিক্রি করে দেয় বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী। প্রতিটি ঘর দখল স্বত্ত্বে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে বিক্রি করেন তিনি। যখন ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয়, তখন ঘটনাটি জানাজানি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি বাধা দিই এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে জানাই।” 

এর জের ধরে মাহবুবুল হক ও তার সহযোগিরা শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে স্থানীয় চরমহিউদ্দিন বাজারে আমার পথ আটকায়। এক পর্যায়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে আমার সঙ্গে থাকা ১লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুল হক এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। 

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, “বিষয়টি থানায় কেউ অবহিত করেনি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”

সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন জানান, উপজেলার চর মহিউদ্দিন গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য ৮২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ৪০টি ঘর খালি ছিল। ওই ঘর বন্দোবস্ত না পাওয়ায় সেগুলোতে কিছু লোক ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘরগুলো পুনরায় দখলে নেওয়া হয়।

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ