ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলার হাইক্কার খাল উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ খালটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। 

পরিদর্শনকালে তিনি হাইক্কার খালটি আগের মতো রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানের মধ্য দিয়ে লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খালের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দেন ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। 

আগামীকাল রবিবার থেকে হাইক্কার খালটি উদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেন তিনি। 

পূর্বে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলার শ্রীখণ্ড মৌজা হয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানের মধ্য দিয়ে লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খালের সঙ্গে যুক্ত ছিল হাইক্কার খাল।

এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ডিএনসিসি'র প্রকৌশলী এবং ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ২৭, লালমাটিয়া এবং মোহাম্মদপুর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে ডিএনসিসি, ডিএসসিসি এবং ঢাকা ওয়াসার সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে বলে জানান ডিএনসিসি প্রশাসক। 

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) প্রকৌ.

এ.কে.এম সহিদ উদ্দিন, ডিএনসিসি'র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ড্রেনেজ সার্কেল) ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ প্রমুখ।

২০১০ সালের জুলাই মাসে ‘রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্প’ নেয় ডিএনসিসি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর হাইক্কার খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে দখলদাররা এ খাল দখল করে। তা উদ্ধারে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছে পরিবেশবাদী সংগঠন ও এলাকাবাসী।

ঢাকা/এএএম/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদপ র ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অভি

ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবির ও বিএনপি নেতা নাসিম আবেদীনের বিরুদ্ধে। 

একদিকে বিদ্যালয়ের জমি দখলের খবরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী। 

জমি দখলের খবরে ছুটে আসেন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও ফতুল্লার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় জাফর সাদিক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের ডেকে বিদ্যালয়ের জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে সদর ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আমি জমি দখলদার ডেকে তিনদিনের মধ্যে জমির দখল মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ