ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার কবি সোহেল হাসান গালিবকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শুক্রবার বিকেলে এই আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ কবি সোহেল হাসান গালিবকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির আদালতকে লিখিতভাবে জানান, আসামি সোহেল হাসান গালিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে (সা.

) নিয়ে কটূক্তি করেন। তাঁর লেখা একটি গ্রন্থেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মতো কবিতা ছাপা হয়েছে। আসামি কোন উদ্দেশ্যে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন, সেটি জানার জন্য তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কবি সোহেল হাসান গালিবকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ আদালত আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গতকাল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে সোহেল হাসান গালিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে এক যুবক গ্রেপ্তার, পরে অস্ত্র উদ্ধার

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মো. ফারুক (২৭) নামের এক যুবককে গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে অস্ত্র আইনে করা মামলায় রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিমান্ডের শুনানির তারিখ ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ রোমন আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের রাইনখোলা এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা কমার্স কলেজের সামনের একটি বাড়ি থেকে ৯টি গুলিভর্তি একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ফারুক এই অস্ত্র ও গুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় ফারুকের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। তাঁর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে আগের একটি মামলাও আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিরপুরে এক যুবক গ্রেপ্তার, পরে অস্ত্র উদ্ধার