অপারেশন ডেভিল হান্ট: নোয়াখালীতে ৬ দিনে ৬৫ জন গ্রেপ্তার
Published: 15th, February 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হান্টে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ দিনে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে, গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৯ জন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটকদের মধ্যে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো.
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্ট ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে যৌথবাহিনী। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুধারাম থানা থেকে দুইজন, হাতিয়া থানা থেকে দুইজন, চাটখিল থানা থেকে একজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে একজন, কবিরহাট থানা থেকে একজন ও সেনবাগ থানা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এসব অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশ কাজ করছে। নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ছয় দিনে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/সুজন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর য বল গ উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আরাকান আর্মির গুলিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুজন গুলিবিদ্ধ
সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা ও একজন ঘুমধুমের বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ভাজাবনিয়া সীমান্তের মিয়ানমার অংশে এ ঘটনা ঘটে। মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা এ গুলি চালিয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে ঘুমধুমের উলুবনিয়া গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (১৯) ও ভাজাবনিয়ায় বসবাসরত রোহিঙ্গা আবদুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন (২৭) আহত হয়েছেন। আহত জাহাঙ্গীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হোসাইনকে প্রথমে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির স্থানীয় লোকজন ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের একজন সাবেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিয়ানমার থেকে পাচারকারীদের বাহকেরা গরু আনার জন্য যাওয়ার সময় আরাকান আর্মি গুলি ছোড়ে। তখন গুলিতে দুজন আহত হন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল করিম জানিয়েছেন, ভাজাবনিয়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের একটি সীমান্ত পোস্ট রয়েছে। পোস্টটি এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। গত রাতে ৩৪ ও ৩৫ সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় সাত-আটটি গুলি ছোড়া হয়। ওই ছোড়া গুলিতে শূন্যরেখা থেকে ২০০ মিটার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একজন বাংলাদেশি ও একজন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তের রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের গতিবিধির ওপর নগর রাখছে আরাকান আর্মি (এএ)। সন্দেহ হওয়ায় তারা গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।