সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর) আয়োজিত  লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে ‘সুবর্ণগ্রাম সংস্কৃতি অঙ্গন’-এর উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী শংকর প্রকাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ‘সুবর্ণগ্রাম সংস্কৃতি অঙ্গন’-এর সভাপতি কবি শাহেদ কায়েস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সাবেক সভাপতি কবি রহমান মুজিব। 

শাহেদ কায়েস তাঁর বক্তব্যে বলেন— ‘সুবর্ণগ্রাম গত প্রায় দুই দশক যাবত সোনারগাঁয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি সংস্কৃতিই সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

সূচনাকাল থেকেই সংস্কৃতি, বিশেষ করে লোকসংস্কৃতি মানব সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। লোককাহিনীগুলোর মাধ্যমেই মানুষেরা সমাজের মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যকে এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছায়।

সময়ের বিবর্তনে লোককাহিনী বিভিন্ন রূপ ধারন করে। যেমন মিথ, কিংবদন্তি, লোককাহিনী এবং প্রবাদ। যদিও লোককাহিনীর এই রূপগুলির প্রতিটিই স্বতন্ত্র, কিন্তু এই লোককাহিনী একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধকে কেন্দ্র করেই বিকাশ লাভ করে।

যে বিশেষ গুনটি লোককাহিনীকে বিশেষ করে তোলে তা হলো এর মানবতাবাদী সুর।’ রহমান মুজিব বলেন, “লোক সঙ্গীত বাংলাদেশের সঙ্গীতের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ-দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সঙ্গীতে।” 

সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর ‘কল কল ছল ছল নদী করে টলমল/ ঢেউ ভাঙ্গে ঝড় তু'ফানে তেৃ’  এই দলীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। দলীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন— উমা রায়, দোলন রানী, ভাবনা সূত্রধর, প্রিয়ন্তি আমিন পিউ, অমৃতা বর্মণ, স্নিগ্ধা বর্মণ, সেঁজুতি বর্মণ, রুপন্তি সরকার, দ্বৈতা দাস, সায়না সরকার, সান্ত্বনা চক্রবর্তী, স্মরণ চক্রবর্তী ও শংকর প্রকাশ। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন— দোলন রানী, ভাবনা সূত্রধর, প্রিয়ন্তি আমিন পিউ, অমৃতা বর্মণ, রুপন্তি সরকার ও স্নিগ্ধা বর্মণ। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে শিশুশিল্পী হুমাইরা জেসনিন ও সেঁজুতি বড়ুয়া, ছড়া-কবিতা আবৃত্তি করে রেহনুমা সাহরিন রিহা, মোহাম্মদ আদেল রহমান, আবরার হোসাইন পরশ ও পারিশা পারভেজ আঁখি। অনুষ্ঠানের শেষ পরিবেশনা ছিল মূকাভিনয়।

উজ্জ্বল উচ্ছ্বাসের রচনা ও নির্দেশনায় পর পর দু’টি মূকাভিনয়— ‘ভিজুয়াল লাইফ’ এবং ‘মব জাস্টিস সিঁধচোর’ পরিবেশন করে ‘মাইম ফেইস- নারায়ণগঞ্জ’।

মূকাভিনয় দু’টিতে অংশ নেন মূকাভিনয়শিল্পী উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আবদুল হান্নান সোহান, আব্দুল জব্বার, মৌন লাকি, কাসেম আলী ও মায়শা হক পাপড়ি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান

রীনা দত্ত ও কিরণ রাও আজ আমির খানের জীবনে অতীত। গত মাসেই নতুন প্রেমের কথা জানিয়েছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট নিজেই। নতুন প্রেমিকা গৌরীর সঙ্গে সবার আলাপও করিয়ে দেন তিনি। আপাতত প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন আমির। এবার চীনের একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেল নতুন জুটিকে। 

গত শনিবার ম্যাকাও ইন্টারন্যাশনাল কমেডি অনুষ্ঠানে যোগ দেন আমির। ওই অনুষ্ঠানের এক ঝলক এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন আমিরের এক ভক্ত।

ভিডিওতে দেখা গেছে, গায়ে কালো রঙের শাল জড়ানো আমিরের। গৌরীর পরনে ছিল শাড়ি। দু’জনে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে গৌরীর হাত ধরে দাঁড় করান আমির। হাসিমুখে চীনের অভিনেতা শেং টেং এবং মা লি-র সঙ্গে এই জুটিতে ছবিও তোলেন।

বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা গৌরী। এক সন্তানের মা। আমির খানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ২৫ বছরের। মাঝে অবশ্য বেশ কয়েক বছর যোগাযোগ ছিল না আমির ও গৌরীর। রীনা এবং কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের যোগাযোগ। বছর দেড়েক আগে মন দেওয়া নেওয়া।

প্রথমে আমির ও গৌরীর সম্পর্কের কথা জানতে পারেননি কেউ। ৬০ তম জন্মদিনে সব লুকোছাপা শেষ। কেক কাটার অনুষ্ঠানে নাকি সকলের সঙ্গে গৌরীর পরিচয় করান আমির। সূত্র: আনন্দবাজার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আল-আকসা মসজিদে সাত শতাধিক ইসরায়েলির ‘তাণ্ডব’
  • ডিএনসিসির বৈশাখী মেলা: শহরের বুকে গ্রামীণ আবহ
  • বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা
  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান