Prothomalo:
2025-02-22@09:03:29 GMT

প্রাঞ্জল বাংলা অনুবাদে কোরআন

Published: 15th, February 2025 GMT

পবিত্র কোরআনের অনেকগুলো বাংলা অনুবাদ এখন বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ অন্যতম। ১৯৮৪ সালে কোরানসূত্র নামে তাঁর যে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটাকে কোরআনের পূর্ণ বাংলা অনুবাদে রূপ দেয়ার ফসল এই সরল বঙ্গানুবাদটি।

কোরানসূত্র প্রকাশের পরই বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৪ সালে সেটির পুনর্মুদ্রণ হয় বাংলা একাডেমি থেকে। এটি ছিল বাংলা ভাষায় কোরআনের একটি বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস। বলা যায়, কোরআনের একটি বাংলা কোষগ্রন্থ, যদিও তা পূর্ণাঙ্গ নয়। তবে এ ধরনের কোনো বই বাংলায় তখনো ছিল না। ফলে কোরআন শরিফে বিভিন্ন বিষয়, বস্তু ও ব্যক্তির যে উল্লেখ আছে, তা সহজে খুঁজে পাওয়ার কোনো ‍উপায় বাংলা ভাষায় ছিল না। হাবিবুর রহমানের কাজ সেই উপায় তৈরি করে দেয়। যেমন: কেউ যদি জানতে চান যে হজরত ইব্রাহিম (আ.

) সম্পর্কে কোরআনের কোন কোন সুরার কী কী আয়াতে কী বলা হয়েছে, তাহলে কোরআনসূত্রের বিষয়সূচিতে থাকা ’ইব্রাহিম’-এর ভুক্তি দেখে তা জানতে পারবেন।

আরও পড়ুনসুরা নিসায় নারীর অধিকারের কথা২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

প্রায় ৪০০টি বিষয়ের ভুক্তি রয়েছে বইটিতে। বিষয়গুলো বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে।

পাঠকের কাছে আবেদন তৈরি করলেও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কোরানসূত্র নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই তিনি সহজ বাংলায় একটি পূর্ণাঙ্গ অনুবাদের কাজে হাত দেন। সেই শ্রমসাধ্য প্রয়াসের ফল হিসেবে ২০০০ সালে কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হয় মাওলা ব্রাদার্স থেকে। দুই দশক পরে ২০২০ সালে প্রথমা থেকে এর নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহজ ভাষায় এ রূপান্তর করেছেন। বাঙালি পাঠককে কোরআনের গভীর মর্মবাণী উপলব্ধি করতে তাই বেগ পেতে না হয়

আরও পড়ুনরোজার প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এতে বিভিন্ন আয়াতের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে টিকা বা সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। যেমন, সুরা বাকারার ২০৩ নম্বর আয়াতের বাংলা অনুবাদ হয়েছে, ‘তোমরা নির্দিষ্টসংখ্যক দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করো আর যদি কেউ তাড়াতাড়ি করে চলে আসে, তাতে তার কোনো পাপ নেই। এ তার জন্য যে সাবধানে চলে। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ও জেনে রাখো যে, তাঁর কাছে তোমাদের একত্র করা হবে।’ এখানে ‘দিনগুলোতে’ শব্দগুচ্ছের ওপর তারকাচিহ্ন দিয়ে পাদটিকায় লেখা হয়েছে. ‘মিনা অবস্থানকালে জিলহাজ মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ।’ অর্থাৎ হজের সময় মিনায় থাকার সময়কালটি পাঠকের কাছে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

বিষয়ভিত্তিক নির্ঘণ্ট থাকায় কোনো একটি বিষয় কোন সূরার কত নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে, তা জানা সহজ হয়। এখানে প্রায় ৮০০টি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কোরানশরিফ বানানটি বেছে নিয়েছেন তাঁর কাছে ‘দৃষ্টিনন্দন ও শ্রুতিমধুর’ ঠেকায়, যা তিনি ভূমিকাতে উল্লেখ করেছেন।

 কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ; অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান; প্রথমা প্রকাশন, ২০২০।

আরও পড়ুনইসলামের সহজ ইতিহাস২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক রআন র অন ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে যাই: পপি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। একসময় চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করলেও হঠাৎ করে অন্তরালে চলে যান। এর মধ্যে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। সম্প্রতি তার মা ও বোনের সঙ্গে বিরোধে জড়ান এই নায়িকা। তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন তারা। এরপরই পপির বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন পপি। জানান, বিয়ের নেপথ্যের গল্প।

২০১৯ সালে পপির বাসায় ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন। পরে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পপি বলেন, “সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনাচক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারো কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না।”

দুঃসময়ে পপিকে আগলে রাখেন তার স্বামী। এ তথ্য উল্লেখ করে পপি বলেন, “বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেল। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি। আমার হাতটা শক্ত করে ধরে বলেছিল, ‘আমি আছি, নো টেনশন।”

আরো পড়ুন:

মুক্তির মিছিল থেকে সরে গেল ‘বান্ধব’

নাঈমের কাছে বাপ্পারাজের প্রশ্ন, হেনা কোথায়

২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়, তারপর বাসা থেকে পালিয়ে যান পপি। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম।”

আদনানকে বিয়ে করার কারণ ব্যাখ্যা করে পপি বলেন, “তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা ছিল— এক. আত্মহত্যা। দুই. নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যাওয়া। আদনানই তখন আমাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হই। ২০২০ সালের নভেম্বরে বিয়ে করি বাসায় কাজি ডেকে। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইত না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।”

১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘কুলি’। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানী। সিনেমাটি সেই সময়ে ৭ কোটি টাকা ব্যবসা করে মাইলফলক অর্জন করে। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি পপিকে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘পরিস্থিতির কারণে’ আদনানকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন পপি
  • 'পরিস্থিতির কারণে' আদনানকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন পপি
  • পরিস্থিতির কারণে আদনানকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন পপি
  • জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে যাই: পপি