কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা স্টেশনে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ হোছাইনগীর (৩৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ হোছাইনগীর বদরখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছনুয়াপাড়ার মোহাম্মদ শরীফের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ছনুয়াপাড়ায় বাড়ির উঠানে দুই ভাই হোছাইনগীর ও হাছানগীরের স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় হোছাইনগীর হাছানগীরের স্ত্রীকে চড়থাপ্পড় দেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে হোছাইনগীর বাড়ি পাশের ফুলতলা স্টেশনের একটি চায়ের দোকানে যান। এ সময় হাছানগীরের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকান ওরফে কালু (১৯) কোমরে ছুরি নিয়ে ওই দোকানে ঢুকে- কেন তাঁর মাকে মেরেছেন তা চাচার কাছে জানতে চায়। একপর্যায়ে হোছাইনগীরের বুকে পরপর তিনটি ছুরিকাঘাত করেন ফোরকান। এতে হোছাইনগীর মেঝেতে ঢলে পড়লে ফোরকান পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা হোছাইনগীরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা।
শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।
এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।
একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।