বগুড়ায় হামলায় যুবদল নেতার মৃত্যু, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর
Published: 15th, February 2025 GMT
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল মিঞা (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
রাশেদুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন গতকাল সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবদুল হান্নানসহ ৬-৭ জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। রাশেদুল সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাঁর সাংগঠনিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন। অন্যদিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবদুল হান্নান একই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, রাশেদুলের অবস্থার অবনতি ঘটলে গত বৃহস্পতিবার কিডনি বিভাগে নেওয়া হয়। গতকাল সকালে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।
বিএনপি ও যুবদলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোনাতলা উপজেলা বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির। অন্য পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম ও জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিএনপির এই দুই পক্ষ নানা বিষয় নিয়ে এখন মুখোমুখি অবস্থানে। নিহত রাশেদুল মিঞা মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।
যুবদল নেতার মৃত্যুর খবরে অভিযুক্ত ও পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল রাতে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র অবস থ উপজ ল গতক ল য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৫ জন আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ রোববার ভোরে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সম্পর্কে বিজিবির ১৬ ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ।
আবদুল মান্নান বলেন, আজ ভোরে সীমান্তে টহলের সময় ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, পুশ-ইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকেরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।