কুড়িগ্রামে তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
Published: 15th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বসতঘরে আগুন লেগে আইরিন (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় শিশুটি ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম সুখদেব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আইরিন ওই গ্রামের আল-আমিনের মেয়ে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত রাতে শিশুটিকে ঘরে রেখে পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ওয়াজ শুনতে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লেগে বাড়ির সবগুলো ঘর পুড়ে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা শিশুটি পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আরো পড়ুন:
দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, হেলপারের মৃত্যু
কাফির বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ
রাজারহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই চার কক্ষের টিনের ঘর ও রান্নাঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় ঘরের ভেতর তালাবদ্ধ শিশু আইরিনও মারা যায়। তার মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’’
ঢাকা/সৈকত/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বকশীগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে যুবলীগ নেতার উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মাঠে যুবলীগ নেতা উপস্থিত থাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জনপরিসরে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ওই ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে।
যুবলীগের ওই নেতার নাম নজরুল ইসলাম সওদাগর। তিনি বকশীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি এক সময় যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
তবে সম্মেলনের মাঠে উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর।
স্থানীয়রা জানায়, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম সওদাগর এক সময় বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ২০১৫ সালের ১২ জুন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি তৎকালীন স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরবর্তীতে পৌর যুবলীগের পদ পান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপির সাবেক নেতা জানান, বেলা দুইটার দিকে বিএনপির সম্মেলন মাঠে প্রবেশ করেন যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। সম্মেলনস্থলের একেবারে পশ্চিম পাশে পূর্ব দিকে দাঁড়িয়ে থেকে বক্তব্য শোনেন তিনি। বিএনপির সম্মেলনে যুবলীগ নেতার উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে, উপস্থিত লোকজনের মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে সামিয়ানার বাইরে চলে যান নজরুল ইসলাম সওদাগর।
বিএনপির সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, ঘরের সাথেই সম্মেলনের মাঠ। ঘর থেকে বের হলেই সব দেখা যায়। মাঠে গিয়ে সম্মেলনের বক্তব্য শোনার কি আছে। তাছাড়া বিএনপির নেতাকর্মী যারা আছেন তারা জানেন দুঃসময়ে আমি তাদের জন্য কি করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর বলেন, নজরুল ইসলাম সওদাগর তার ছোট ভাই। বিএনপির সম্মেলনে তিনি আসেন নি। সম্মেলনের মাঠ আর আমার বাসা একসাথে। তিনি হয়তো বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, তবে আমি দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, নজরুল ইসলাম সওদাগর যুবদলের নেতা ছিলেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা হামলা থেকে বাঁচাতে যুবলীগে গিয়েছিলেন। তিনি যুবলীগ করার কারণে বিগতে সময়ে বকশীগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। মেয়র থাকাকালীন বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশি লাভবান হয়েছেন। যখন বিএনপি মাঠে দাঁড়াতে পারেনি তখন নজরুল ইসলাম সওদাগর সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সওদাগরের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় কোনো মামলা নেই। তদন্তে যদি তার নাম আসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।