কিউরা বহুজাতিক শিরোপা জিতল ২০ বছর পর
Published: 15th, February 2025 GMT
আগের ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫২ রান তাড়া করে রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। সেই অনবদ্য জয়ের পরই ফাইনালের টিকিট পায় স্বাগতিক পাকিস্তান। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তান ৪৯.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে সর্ব সাকুল্যে ২৪২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। কিউইরা ২৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই অতিক্রম করে সে লক্ষ্য।
করাচিতে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অনুষ্ঠিত ফাইনালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। কৌশলটি যে সঠিক ছিল না তার প্রমাণ মেলে ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গেই।
আরো পড়ুন:
আফগানিস্তান-নিউ জিল্যান্ডকে এ কেমন ভেন্যু দিলো ভারত?
নির্বাচকদের পরিবর্তে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে আলোচনায় দুই শিশু
স্বাগতিকরা ১২ ওভারের মাঝেই ৫৪ রানে উপরের তিন ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপদে পড়েন। সেখান থেকে হাল ধরেন কাপ্তান রিজওয়ান এবং আগা সালমান। আগের ম্যাচেই নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করার সময় এই দুই ব্যাটসম্যান রেকর্ড ২৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন। ফাইনালেও চতুর্থ উইকেটে ১২০ বলে ৮৮ রান আনেন তারা।
রিজওয়ান চারে নেমে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। ৭৬ বল খেলে চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ৬৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৪৫ রান আসে পাঁচে নামা সালমানের ব্যাট থেকে। রিজওয়ানকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন উইলিয়াম ও'রোর্ক। সালমানকে ফেরান মাইকেল ব্রেসওয়েল।
এরপর পাকিস্তান আর কোনো ভালো জুটি পায়নি। নিয়মিত বিরতিতে তাদের উইকেট তুলে নেয় কিউইরা। স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা হতে পতন হয় বাকি ৭ উইকেটের। ছয়ে নামা তায়্যিব তাহির ৩৩ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৩৮ রান। ওপেনার বাবর আজমের ব্যাট থেকে সমান সংখ্যক বাউন্ডারিতে আসে ৩৪ বলে ২৯ রান। আটে নামা ফাহিম আশরাফ দুটি চারে ২১ বলে করেন ২২ রান। তিন বলের মধ্যে ফাহিম ও নাসিম শাহকে আউট করে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন ও'রোর্ক।
ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং উপহার দিলেন উইলিয়াম ও'রোর্ক। তিনি যোগ্য সঙ্গ পেলেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ও ব্রেসওয়েলের কাছ থেকে।
পুঁজি কম হলেও একটা সময় মনে হয়েছিল ম্যাচটা জমিয়ে তুলতে পারবে পাকিস্তান। বিশেষ করে ম্যাচের ১৮তম ওভারে নাসিম শাহর শিকার হয়ে ডেভন কনওয়ে ফিরে যাওয়ার পরই করাঁচি স্টেডিয়াম প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু ড্যারিল মিচেল ও টম লাথামের দৃঢ়তায় ম্যাচ বের করে নেয় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে ৮৮ বলে ৮৭ রানের জুটি করেন তারা। ৫৮ বলে ৫৭ রান করেন মিচেল এবং ৬৪ বলে ৫৬ রান করেন লাথাম। ওপেনার কনওয়ে ৭৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। কেন উইলিয়ামসন ৩৯ বলে ৩৪ রান নেন।
একবিংশ শতাব্দীতে সাদা বলে ১৩টি ফাইনাল খেলে এটি কিউইদের পঞ্চম জয়। অন্যদিকে ২০০৫ সালের পর এই প্রথম সাদা বলে কোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতল তারা।
এই শিরোপা নিউজিল্যান্ডকে আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ আত্মবিশ্বাস যোগাবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জওয় ন ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক-প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে শিক্ষা উপদেষ্টার তাগিদ
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল ইসলাম আবরার। তিনি শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ বিষয়গুলোতে নজর রেখে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে দক্ষতা ও বাস্তবমুখী করা জরুরি।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক নয়, বরং সহায়ক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষাক্রমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া গুণগতমান উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর প্রক্রিয়া চলমান। এর মাধ্যমে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাসম্ভব সহায়তা করবে।
উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিয়া ও শিল্পখাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। আগামীতে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. সবুর খান অলাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর করারোপ প্রসঙ্গে বলেন, যে পরিমাণ অর্থ কর হিসেবে আদায় করা হয়েছে, তা গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য পুনরায় বরাদ্দ করা উচিত। এ অর্থ উদ্ভাবনী গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় হলে উচ্চশিক্ষা খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের পদ্ধতি প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আবেদীন বলেন, প্রতিটি পদের জন্য ১৫-২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করতে হয়। সে হিসাবে সহস্রাধিক মানসম্পন্ন অধ্যাপক পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমিতির কোষাধ্যক্ষ কে বিএ ম মঈন উদ্দিন চিশতি বলেন, একটি মানসম্পন্ন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কয়েকশ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে নিজস্ব অর্থায়নে জমি কেনার পর ক্যাম্পাস নির্মাণে অর্থের সংস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সরকারি সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য কাইয়ূম রেজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।