মেট্রোরেলে ৪ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড
Published: 15th, February 2025 GMT
দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল এক দিনে ৪ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড গড়েছে। এর আগে এক দিনে সাড়ে ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে মেট্রোরেল।
বর্তমানে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে উভয় দিকে যাত্রী পরিবহন করছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেল ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এ মাইলফলক অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্মানিত যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীজনদেরকে মেট্রোরেল পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।
আরো বলা হয়, এ মহতি লক্ষ্য অর্জনে সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব মো.
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সভায় ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছিলেন, “গত ৩ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে, যা শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে—সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরো বাড়বে।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের
হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচেও ৭৩ রানে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচেও নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টম ল্যাথামের দল।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে বড় অবদান রাখেন ড্যারিল মিচেল। মাত্র ৭৮ বলে অপরাজিত ৯৯ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৭টি ছক্কা। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও তার ইনিংসেই কিউইরা বড় সংগ্রহের ভিত পায়। এ ছাড়া অভিষিক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আব্বাস ৬৬ বলে ৪১ রান করেন। ওপেনার নিক হিলি ২৩ বলে ৩১ রান এবং হেনরি নিকোলস ৩২ বলে ২২ রান করেন। তবে বাকিরা তেমন বড় অবদান রাখতে পারেননি।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সুফিয়ান মুকিম ২টি করে উইকেট নেন। তবে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা বাজে দিন কাটান, অতিরিক্ত ৩২ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে সাহায্য করেন তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় কখনই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমের সঙ্গে তৈয়ব তাহিরের জুটিও শেষ হয় ৩৩ রানে। ১১৪ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান ফাহিম ও নাসিমের ব্যাটে পায় সবচেয়ে বড় জুটির দেখা। নবম উইকেটে তারা গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি। দুজনেই পান ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা।
৮০ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করা ফাহিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি। সুফিয়ান মুকিমের সঙ্গে শেষ উইকেটে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করে শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসিম আউট হন ৪৪ বলে ৪টি করে ছক্কা-চারে ৫১ রান করে।