প্রায় ৮ বছর পর ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হবে আসরটি। পরদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে ঘোষণা করা হয়েছে টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি। আসরের রানার্স আপ দল পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.

২৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পরাজিত দুই দলকে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। যার অর্থ প্রায় ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাবে অন্তত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দল। টুর্নামেন্টে পঞ্চম ও ষষ্ঠ দল ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পাবে। 

সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে শেষ করা দলের জন্যও আছে প্রাইজমানি। এই দুই অবস্থানে থাকা দল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার মতো অর্থ পুরস্কার পাবে। সঙ্গে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার ফি দেওয়া হবে প্রতিটি দলকে। যা ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার বা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি। 

এছাড়া গ্রুপ পর্বের প্রতি জয়ের জন্য ৩৪ হাজার ডলার বা প্রায় ৪১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যার অর্থ আসরের চ্যাম্পিয়ন দল সব মিলিয়ে প্রায় ৩২ কোটি টাকার মতো প্রাইজমানি পাবে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্তর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলে প্রায় ৩২ কোটি টাকা প্রাইজমানি পেতে পারে বাংলাদেশ। 

আর শান্তরা যদি টুর্নামেন্টে কোন ম্যাচ না জিতে বাড়ি ফিরে আসে তবুও অংশগ্রহণ ফি ও টুর্নামেন্টের সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানের জন্য ঘোষিত প্রাইজমানি মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাইজমানি পাবে।    

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প র ইজম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ