নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মায়ের সামনে আগুনে পুড়ে অঙ্গার শিশু জিহানের (৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার রূপসী গ্রামে জানাজা শেষে শিশুটিকে দাফন করা হয়।

এর আগে, গতকাল বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় রংধনু সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। এতে প্রাইভেটকারে থাকা শিশু জিহান আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা ফিলিং স্টেশনে এসে ভাঙচুর চালায়। জিহান রূপসী এলাকার শরীফ হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা জানান, শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়ি রূপসী থেকে শিশু জিহান তার মা ও মামার সঙ্গে প্রাইভেটকারে করে খালার বাড়ি নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে কর্ণগোপ এলাকায় রংধনু ফিলিং স্টেশনে প্রাইভেটকারে গ্যাস নেওয়ার জন্য থামে। এ সময় প্রাইভেটকারের ভেতরেই ছিল শিশু জিহান। তার মা ও মামা বাইরে ছিল। গ্যাস নেওয়ার সময় হঠাৎ গাড়িতে আগুন লেগে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে গাড়ির ভেতরে থাকা শিশু জিহান আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘প্রাইভেটকারে আগুন লেগে এক শিশু মারা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের ভিন্ন ভাষ্য

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার একটি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থীর (১৩) মৃত্যু হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়ি যেতে না পারায় মেয়েটি লাফ দেয়। তবে স্বজনেরা দাবি করেছেন, এখানে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকতে পারে।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি রাতেই জানাজানি হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাদ্রাসার পাঁচতলার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে।

মাদ্রাসার মুহতামিমের ভাষ্য, ঈদের ছুটির পর সপ্তাহখানেক আগে ওই শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়। তবে মাদ্রাসার আবাসিকে থাকতে সে অনাগ্রহী ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সে তার মাকে ফোন করে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে রাতে মাদ্রাসার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁরা কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ওই শিক্ষার্থীর মামা বলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করতে, তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাঁরা থানায় অভিযোগ করবেন। পুরো ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবি জানান।

মেয়েটির এক স্বজন দাবি করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। জানালার একটি বড় ফাঁক দিয়ে মেয়েটি নিচে পড়ে যায়। যদি গ্রিল সঠিকভাবে থাকত, এমনটা না–ও হতে পারত।

মাদ্রাসার মুহতামিম বলেন, ‘দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাস্তায় মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে ফোন করেন। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জানালার ওই অংশে ফাঁক ছিল, তবে সেটি আগে তেমনভাবে আমাদের নজরে আসেনি।’

এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানালার একটি অংশে রডের ফাঁক আছে, সেটি বেশ বড়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান দিয়েই মেয়েটি পড়েছে। তবে তদন্ত চলছে। মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে। যৌন নিপীড়নের কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে। এখন পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ