যাত্রী পরিবহনে নতুন মাইলফলক অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেলে এক দিনে ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে ভেরিফায়েড পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল বলেছে, ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর এটাই এক দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড।

এই মাইলফলক অর্জনে যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী ও অংশীজনদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে ডিএমটিসিএল। সেই সঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে আগামীর পথচলায় সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও জ্যেষ্ঠ সচিব মো.

এহছানুল হককে ধন্যবাদ জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই

বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ডিটেকশনের (শনাক্তের) ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম (এই সময়ের মধ্যে) দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব, ইনশা আল্লাহ।’

তবে ডিএমপি কমিশনার এমন কথা বললেও পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহপাঠীরা ‘অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারার’ কথা জানান। তাঁরা বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই যুবক থাকতেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে আর হলে দেখা যায়নি।

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল শোলা দিয়ে নতুন করে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’

সম্পর্কিত নিবন্ধ