ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ৫ স্পিনার কেন, প্রশ্ন অশ্বিনের
Published: 15th, February 2025 GMT
রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী ও ওয়াশিংটন সুন্দর—চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ভারতের বোলিং বিভাগে আছেন এই পাঁচ স্পিনার। ১৫ জনের দলে এত বেশি স্পিনার রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সদ্য সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তাঁর মতে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত এমন কোনো ভেন্যুতে খেলবে না, যেখানে স্পিনাররা বেশি টার্ন পাবেন। যশস্বী জয়সোয়ালের মতো ব্যাটসম্যানকে জায়গা না দিয়ে বেশি স্পিনার রাখার কারণ বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য অশ্বিনের।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হলেও ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের পর সম্ভাব্য সেমিফাইনাল, ফাইনালও। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’–এ অশ্বিন ভারতীয় দলে স্পিনারদের আধিক্য নিয়ে বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না আমরা কেন এত বেশি স্পিনার দুবাইয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ৫ স্পিনারকে দলে জায়গা দিয়েছি, জয়সোয়ালকে বসিয়ে রেখেছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বাইরে সফরে গেলে আমরা ৩–৪ জন স্পিনার নিয়ে যাই। কিন্তু দুবাইয়ে ৫ স্পিনার? আমি জানি না। আমার মনে হয়, দুজন না হলেও অন্তত একজন স্পিনার বেশি হয়ে গেছে।’
কেন দুবাইয়ের জন্য ৫ জন স্পিনার বেশি হয়ে যায়, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা অশ্বিন, ‘কুলদীপ যাদব তো খেলবেই। তাহলে বরুণের জন্য কীভাবে জায়গা বের করবেন? সে বোলিং ভালো করে। দুজনকে একসঙ্গে খেলানো যায়। যেটা আমার কাছে ভালোই মনে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দুবাইয়ে বল কি খুব বেশি টার্ন করে? কিছুদিন আগে আইএলটি–টোয়েন্টি শেষ হলো। তখন তো দুবাইয়ে বল তেমন একটা টার্ন করতে দেখলাম না। দলগুলো ১৮০ রানও খুব সহজে তাড়া করেছে। (ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির) দল নিয়ে আমার অস্বস্তি হচ্ছে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে রোহিত শর্মাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে বাংলাদেশ স্কোয়াডে স্পিনার আছে তিনজন—মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন।
পেসনির্ভর পাকিস্তান দলে একমাত্র নিয়মিত স্পিনার আবরার আহমেদ। আর নিউজিল্যান্ড দলে নিয়মিত স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। অবশ্য ভারত ছাড়া অন্য দলগুলো পাকিস্তানের মাটিতেও খেলবে।
পাকিস্তানের তুলনায় দুবাই তুলনামূলক স্পিনবান্ধব হলেও সেখানে ৫ জন স্পিনারের যৌক্তিকতা দেখেন না অশ্বিন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন স প ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাক থেকে ঝরে পড়া বালুর স্তর সড়কে
তাহেরুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বাইসাইকেল চালিয়ে শহরের রেলগেট থেকে সাঁড়াগোপালপুরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক থেকে রাস্তায় ঝরে পড়া বালুর আস্তরণে চাকা পিছলে ইজিবাইকের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে পড়েন রাস্তার পাশে পাতিবিলের কিনারায়। অল্পের জন্য তিনি পানিতে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান। অন্য যানবাহনের যাত্রীরা তাঁকে তুলে পাঠান বাড়িতে।
ঈশ্বরদীর টিপু সুলতান, উপজেলা, পাকশি পেপার মিল, ইপিজেডসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। এতে শিক্ষক তাহেরুলের মতো বিপদে পড়ছেন অনেকে। জানা গেছে, বালু বহনকারী ট্রাক, ডাম্প ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে ঝরে পড়া বালু রাস্তায় জমতে জমতে পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে।
এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে জানা গেছে, পদ্মা নদী থেকে ট্রাকে সড়কপথে বহন করা বালু ঝরে পড়ে বিভিন্ন সড়ক এখন বালুময় হয়ে গেছে। পাকা সড়ক ঢাকা পড়েছে বালুর আস্তরণে। চাকা পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
টিপু সুলতান রোডে চলাচলকারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতে এ সড়ক ভাঙা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের বালু বহন করায় ঝাঁকুনিতে ঝরে পড়ে। এতে বালু জমে সড়ক ঢাকা পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। ইজিবাইকচালক বদরুল আলমের ভাষ্য, বালুতে চাকা পিছলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। বালু না সরানো হলে এবং ট্রাকে অতিরিক্ত ভার বহন বন্ধ করা না হলে এ অবস্থার সমাধান হবে না।
পদ্মা নদী থেকে বালু ভর্তি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ফুট বালু সড়কে ঝরে পড়ে বলে জানান ট্রাকচালক জামাল হোসেন। আরেক চালক সামসুল আলম বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে বারবার অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বালু ঝরে পড়ে। বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালু লোড করতে হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ঝরে পড়ার পরও ট্রাকের আকার অনুযায়ী বালু থাকে।
ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, বালুতে সড়কে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা জানা ছিল না। ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বিষয়টি আলাপ করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।