ভারতে জানুয়ারি মাসে হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা পাইকারি মূল্যসূচক (ডব্লিউপিআই) তথা মূল্যস্ফীতি কমেছে। এই মাসে দেশটির পাইকারি বাজারে জিনিসপত্রের দাম তথা মূল্যস্ফীতি কমে ২ দশমিক ৩১ শতাংশে নেমেছে; যা আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য এবং বস্ত্র ও পোশাকপণ্যের দামের কারণেই এখনো মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি চলছে।

গতকাল শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তবে দেশটিতে পাইকারি মূল্যসূচক গত বছরের একই মাসের চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সে দেশে ডব্লিউপিআই মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডব্লিউপিআই মূল্যসূচক এ বছরের জানুয়ারিতে কমে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এদিকে জ্বালানির দামও কমে এসেছে। এই খাতে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন খাতের ডব্লিউপিআই অবশ্য গত ডিসেম্বর মাসের ২ দশমিক ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ হয়েছে।

এদিকে ভারতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বছরের পর বছর উচ্চ পর্যায়ে থাকলেও পয়েন্ট টু পয়েন্ট বা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সর্বশেষ জানুয়ারিতে তা কমে ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে নেমেছে, যা এর আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এই হ্রাস মূলত সবজির দাম কমার ফলেই ত্বরান্বিত হয়েছে। পতনের জন্য দায়ী ছিল, যা আগে খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে রেখেছিল। সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যেমন সবজির মূল্যস্ফীতি গত ডিসেম্বরে যেখানে ছিল ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ, সেখানে জানুয়ারিতে তা মাত্র ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশে নেমেছে।

মূল্যস্ফীতি মোটামুটি ইতিবাচক থাকলেও শিল্প খাতের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। খুচরা পর্যায়ে ডিসেম্বরে শিল্প উৎপাদনের সূচক (আইআইপি) কমে মাত্র ৩ দশমিক ২১ শতাংশে নেমেছে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড স ম বর ২ দশম ক বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড পাওয়া বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাঁকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটা তাঁর আশা।

২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অবিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও কোনো উপকার হয়নি। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
  • ওষুধ সেবনে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ইংলিশ ক্রিকেটার
  • ডিএনসিসিতে ১৫৮ পদে নিয়োগে আবার বিজ্ঞপ্তি
  • কৃষিগুচ্ছভুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু
  • আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস 
  • হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন বাইডেন
  • চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
  • মোদির নতুন চাল
  • রাবির পরীক্ষার জন্য শনিবার বন্ধ থাকবে জবি