পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা নিউজিল্যান্ডের
Published: 15th, February 2025 GMT
গত এক দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে ধারাবাহিক সুবাস ছড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। পরপর দুই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে কিউইরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।
এবার পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্যতম দাবিদার তারা। পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতে সেটাই প্রমাণ করেছেন কেন উইলিয়ামসন-টম ল্যাথামরা।
শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বল হাতে পাকিস্তানকে অলআউট করে নাগালে রাখেন কিউই বোলাররা। ব্যাট হাতে পাঁচ জনের ছোট-মাঝারি ইনিংসে জয় পেয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
শিরোপা মিশনে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে ও’রর্কির দাপুটে বোলিংয়ে ৩ বল থাকতে ২৪২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টপ অর্ডারে দলটির তিন ব্যাটার ব্যর্থ হন। মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সেট হলেও রান বড় করতে পারেননি। ওপেনার ফখর জামান ১০, বাবর আজম ২৯ ও সূদ শাকিল ৮ রান করে ফিরে যান।
সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আঘা ও তাঈব তাহির ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলেন। সালমানের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। নিজে খেলেন ৭৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। সালমান ৬৫ বলে ৪৫ রান করেন। তাঈব ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ারে ফাহিম আশরাফ ২২ ও নাসিম শাহ ১৯ রান যোগ করেন।
জবাবে কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৭৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। কেইন উইলিয়ামসন ৩৪ রান যোগ করেন। ড্যারেল মিশেল ৫৭ ও টম লাথাম খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। গ্লেন ফিলিপস খেলেন ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংস। বল হাতে ও’রর্কি ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন। মাইকেল ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনার দুটি করে উইকেট নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন উইল য় মসন র ন র ইন
এছাড়াও পড়ুন:
২২ রান তুলতে শেষ ৭ উইকেট, পাকিস্তানের নাটকীয় হার
‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান আবারও সেই পরিচিত রূপে! জয়ের পথে থেকেও হঠাৎ পথ হারানোর ঘটনা তাদের ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ঘটল সেই চেনা কাহিনি। শেষ ২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রানের ব্যবধানে হেরে গেল পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাবে পাকিস্তান মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ২৪৯ রান করে ফেলে। শেষ ৬৯ বলে ৭ উইকেট হাতে রেখে প্রয়োজন ছিল ৯৬ রান। তবে সেখান থেকেই ধসে পড়ে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩৫ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ২৭১ রানে।
টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান, কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। মার্ক চাপম্যান ও ড্যারিল মিচেল গড়েন ১৯৯ রানের রেকর্ড জুটি, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ।
মিচেল ৮৪ বলে ৭৬ রান করে ফিরলেও চাপম্যান ছিলেন দুর্দান্ত। ১৩২ রানের ইনিংসে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ দিকে অভিষিক্ত মুহাম্মদ আব্বাস মাত্র ২৬ বলে ৫২ রানের ক্যামিও খেললে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় কিউইরা।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে ইরফান খান ৩ উইকেট নিলেও ৫ ওভারে দেন ৫১ রান। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন আকিফ জাভেদ ও হারিস রউফ। এদিন অতিরিক্ত থেকেই পাকিস্তান দেয় ৪৩ রান, যা আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
৩৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন উসমান খান ও আবদুল্লাহ শফিক। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৩ রান। তবে ৮৮ রানের মধ্যেই দুজনই ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে দল। এরপর বাবর আজম ও অধিনায়ক রিজওয়ান মিলে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। ১৬৪ রানে রিজওয়ান আউট হলেও পাকিস্তানের জয়ের পথে বড় ধাক্কা ছিল না। বাবরের সঙ্গে ৫৯ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন সালমান আলী আগা।
কিন্তু ২৪৯ রানে বাবর আউট হওয়ার পরই নামে পাকিস্তানের ইনিংসে ধস। শেষ ২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানে অলআউট হয় তারা। শেষ ৬ ব্যাটারের মধ্যে তিনজন শূন্য এবং তিনজন মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
পাকিস্তান তাই জেতার মতো পরিস্থিতিতে থেকেও ম্যাচ হেরে গেল ৭৩ রানের ব্যবধানে। এই হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল তারা।