গত এক দশকে বিশ্ব ক্রিকেটে ধারাবাহিক সুবাস ছড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। পরপর দুই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে কিউইরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।

এবার পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্যতম দাবিদার তারা। পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতে সেটাই প্রমাণ করেছেন কেন উইলিয়ামসন-টম ল্যাথামরা।

শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বল হাতে পাকিস্তানকে অলআউট করে নাগালে রাখেন কিউই বোলাররা। ব্যাট হাতে পাঁচ জনের ছোট-মাঝারি ইনিংসে জয় পেয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। 

শিরোপা মিশনে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে ও’রর্কির দাপুটে বোলিংয়ে ৩ বল থাকতে ২৪২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টপ অর্ডারে দলটির তিন ব্যাটার ব্যর্থ হন। মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সেট হলেও রান বড় করতে পারেননি। ওপেনার ফখর জামান ১০, বাবর আজম ২৯ ও সূদ শাকিল ৮ রান করে ফিরে যান।

সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আঘা ও তাঈব তাহির ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলেন। সালমানের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। নিজে খেলেন ৭৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। সালমান ৬৫ বলে ৪৫ রান করেন। তাঈব ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ারে ফাহিম আশরাফ ২২ ও নাসিম শাহ ১৯ রান যোগ করেন।

জবাবে কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৭৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। কেইন উইলিয়ামসন ৩৪ রান যোগ করেন। ড্যারেল মিশেল ৫৭ ও টম লাথাম খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। গ্লেন ফিলিপস খেলেন ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংস। বল হাতে ও’রর্কি ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন। মাইকেল ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনার দুটি করে উইকেট নেন।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন উইল য় মসন র ন র ইন

এছাড়াও পড়ুন:

লিড একশ’ হওয়ার আগে থামল জিম্বাবুয়ে 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ‘মানসিক ভুলের’ ধারা ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। একের পর এক ভুলে ব্যাটিং বান্ধব  সিলেটের উইকেটে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে। দারুণ শুরু করার পর তাদের ৮২ রানের লিডে আটকাতে পারাও যেন বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। 

বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়: টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ব্যর্থ হন। সাদমান ইসলাম ১২ ও মাহমুদুল জয় ১৪ রান করে ফিরে যান। ৩২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনে নামা মুমিনুল হক  ও চারে নামা নাজমুল শান্ত সেট হয়ে ফিরে যান। শান্ত ৪০ রান করেন। মুমিনুল ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ব্যাটাররা উইকেট বিলিয়ে দেন। জাকের আলী ২৮ ও হাসান মাহমুদ ১৯ রান যোগ করেন। 

মুজুরাবানি-মাসাকাদজার দাপট: বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দাপট দেখান জিম্বাবুয়ের বোলার ব্লেজিং মুজুরাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তারা দু’জন তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট দখল করেন নায়োচি ও মেধেভেরে। 

জিম্বাবুয়ের দাপুটে শুরু: জিম্বাবুয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান যোগ করে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৬৭ রানে কোন উইকেট হারায়নি তারা। দ্বিতীয় দিন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ৫৭ করে আউট হন। শন উইলিয়ামস ৫৯ রান যোগ করেন। মেধেভেরে ২৪ ও উইকেটরক্ষক নায়াশা মায়োভি ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। এনগ্রাভা ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। 

প্রথম সেশন রানার ও মিরাজের ফাইফার: বাংলাদেশ দলের বা হাতি স্পিনার মেহেদী মিরাজ ২০.২ ওভার বোলিং করে ৫২ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে হাত থেকে পুরোপুরি ফসকে যেতে থাকা দলকে ম্যাচে ফেরান পেসার নাহিদ রানা। তিনি প্রথম চার উইকেটের তিনটিই দখল করেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবাহনী-মোহামেডানের জয়ের দিনে জিতেছে রূপগঞ্জ
  • বিফলে বিজয়ের সেঞ্চুরি, মোহামেডানকে জেতালেন ‘বিতর্কিত’ হৃদয় 
  • চার উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে
  • একশ’র আগে প্রথম উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে
  • মুজুরাবানিতে ধস বাংলাদেশের, জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ১৭৪
  • ব্যাটিংয়েও কিছু করতে চান মিরাজ
  • বাংলাদেশেও অনার্স বোর্ড চান মিরাজ
  • দুই দলই সিলেট টেস্টে নিজেদের এগিয়ে রাখছে 
  • দ্বিতীয় দিনও ব্যাকফুটে থাকল বাংলাদেশ
  • লিড একশ’ হওয়ার আগে থামল জিম্বাবুয়ে