Prothomalo:
2025-04-25@06:01:24 GMT

মাচায় ঝুলছে লাউ, ক্রেতা নেই

Published: 15th, February 2025 GMT

এক একর জমিতে লাউ চাষ করেছেন কৃষক সিরাজ উদ্দিন। ফলনও হয়েছে ভালো। এরপরও দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সিরাজ উদ্দিনের। জানালেন, চাষাবাদে খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকার মতো। অথচ এ পর্যন্ত লাউ বিক্রি করে আয় হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। এখন স্থানীয় বাজারে লাউ বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও ক্রেতা তেমন মিলছে না। যাঁদের পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের কাছে লাউ বিক্রি করে উঠছে না পরিবহন খরচ।

সিরাজ উদ্দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁর খেতে গিয়ে দেখা যায়, খেতজুড়ে মাচায় ঝুলছে নানা আকারের লাউ। কিছু লাউ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় খেতের পাশে।

সিরাজ উদ্দিন বলেন, গত বছরের বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে লাউ চাষ করেছিলেন। আশানুরূপ ফলনের পরও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘বাজারে লাউ নিয়ে গেলে কেউ কিনতে চায় না। বাজারে যে গাড়িভাড়া করে নিয়ে যাব, এর খরচ তো অন্তত উঠতে হবে। দাম না পাওয়ায় গত প্রায় ২০ দিন ধরে বাজারে লাউ নেওয়া বন্ধ রেখেছি।’

নিজের খেতে অন্তত দুই হাজার ছোট-বড় লাউ এখন মাচায় ঝুলছে বলে জানান সিরাজ উদ্দিন। বলেন, তাঁর মতো এলাকার সবচাষিই লাউ চাষ করে বিপাকে। কেউ গরুকে লাউ খাওয়াচ্ছেন। এখন অবস্থা এমন যে গরুও লাউ খেতে চায় না। লাউ চাষ যেন চাষিদের জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে।

এলাকায় কথা হয় আরেক কৃষক আবুল খায়েরের (৫৫) সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তিনি ১০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। পাশাপাশি এক একর জমিতে চাষ করেছেন শিম। দুটি ফসলেরই বাজার এবার খারাপ যাচ্ছে। ক্রেতা না থাকায় তিনিও বাজারে লাউ বিক্রি করতে নিচ্ছেন না।

কিছু লাউ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে খেতের আশপাশে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল উ চ ষ কর চ ষ কর ছ

এছাড়াও পড়ুন:

পেহেলগামে হামলার পর ভারতে পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধলেই সেটার প্রভাব পড়ে খেলাধুলায়। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে ভারতে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পেহেলগামে গত মঙ্গলবার কয়েকজন বন্দুকধারী নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালান। এতে ২৫ ভারতীয়সহ ২৬ জন প্রাণ হারান, আহত হন ১০ জন।

এ ঘটনায় পাকিস্তানের মদদ আছে বলে মনে করছে ভারত সরকার। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বিদ্রোহী গ্রুপ দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ), যাদেরকে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা মনে করে ভারত সরকার।

এ বছর ভারতের কোনো টিভি চ্যানেল ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আর পিএসএল দেখা যাবে না

সম্পর্কিত নিবন্ধ