রাশমিকা মান্দানার চোখে-মুখে সবসময় যেন এক চিলতে মিষ্টি হাসি লেগেই থাকে। জনসম্মুখে যতক্ষণ তার উপস্থিতি পাওয়া যায়, তার পুরোটা সময় দুষ্টুমিতে মেতে থাকেন। বলা যায়, এটি তার স্বভাবজাত ব্যাপার। জীবনকে সরল সমীকরণে দেখতেই পছন্দ করেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার এই তারকা অভিনেত্রী।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাশমিকা মান্দানা। এ আলাপচারিতায় তিনি জানান, জীবনকে জটিল হিসাব-নিকাশের রেখাচিত্রে ফেলতে নারাজ। বরং ঐশ্বরিক কোনো শক্তি তাকে পরিচালিত করেন বলেই বিশ্বাসী ‘পুষ্পা’ তারকা।

জীবনের এই তত্ত্ব সিনেমা বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করে থাকেন রাশমিকা। একটি সিনেমায় কী ভ্যালু যুক্ত করতে পারবেন, কতটা ভ্যালু যুক্ত হবে আপনার ক্যারিয়ারে— সিনেমা বাছাই করার সময়ে কি এসব বিবেচনা করেন? জবাবে রাশমিকা মান্দানা বলেন, “আমার মনে হয়, আপনি যদি এভাবে ভাবতে থাকেন তা হলে জীবন কঠিন হয়ে উঠবে।”

আরো পড়ুন:

বাদ পড়ছে ভিকি-রাশমিকার ‘আপত্তিকর নাচ’

নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না রাশমিকা

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রাশমিকা মান্দানা বলেন, “প্রথমত, আমি আমার জীবনকে খুব বেশি সিরিয়াসলি নিই না। আমার মনে হয়, ঐশ্বরিক একটি শক্তি আমাকে পরিচালিত করছে। সত্যি বলতে, আমি স্রোতের সঙ্গে চলি।”

সিনেমার চরিত্র কোনো ব্যাপার না। বরং গল্প বলার অংশ হতে চান রাশমিকা। তার ভাষায়, “আমি যখন সিনেমা বাছাই করি, তখন গল্প বলার অংশ হতে চাই। চরিত্র কী সেটা কোনো বিষয় না। আমি দুই সন্তানের মা বা চার সন্তানের মা বা আমি দাদি অথবা চরিত্রটি অন্যকিছু হতে পারে। কিন্তু এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি কেবল সেই গল্প বলার অংশ হতে চাই।”

রাশমিকা অভিনীত ‘ছাবা’ সিনেমা গতকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির গল্প শিবাজির পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে। দীনেশ বিজন প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন লক্ষ্মণ উতেকার।

সিনেমাটিতে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে ভিকি কৌশল ও মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্র রূপায়ন করেছেন অক্ষয় খান্না। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন— আশুতোষ রানা, ডিয়ানা পেন্টি, দিব্যা দত্ত প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন জ বনক

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

বাগেরহাটে বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম গাজী (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়।

নিহত সিয়াম গাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মজিবর গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের বাবা মজিবর গাজী (৫০), তাদের প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) ও ইজিবাইক চালক বাপ্পি (৩০)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহেষপুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. তোমেজ উদ্দীন বলেন, সিয়াম ও তার বাবা তাদের একজন প্রতিবেশিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে পিরোজপুর সদরে তাদের নিকট আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে যাচ্ছিলেন। বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক অর্থাৎ পিরোজপুর থেকে বাগেরহাটের দিকে আশা একটি যাত্রীবাহী বাসের ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে সিয়াম গাজী নামের একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান। অন্যরা বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাস্তার পাশে একটি ট্রাক রাখা ছিল। যার ফলে ইজিবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। যানবাহন দুটি ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে সড়ক অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ