তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন? জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন কবে পাবে? ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না?
এসব প্রশ্নের মীমাংসার আগেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে নানাভাবে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছে। কেউ মনে করেছেন, যত দ্রুত নির্বাচন হওয়া ভালো। কেউ ভাবছেন, নির্বাচন দেরিতে হলে তারা দল গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রশ্ন হলো নির্বাচনটি কবে হবে? জাতীয় না স্থানীয়—কোন নির্বাচন অগ্রাধিকার পাবে?
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরকে ডেটলাইন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আশা করছেন। এর আগে তিনি জাপানি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও একই কথা বলেছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়টি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের ঐকমত্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে কোনো বিষয়েই একমত হতে পারে না, সেখানে নির্বাচনের দিনক্ষণ কিংবা সংস্কারের পরিধি নিয়ে একমত হতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও আছে।  

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী প্রায় সব প্রশ্নে ঐকমত্য পোষণ করত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারা ও মাঠ ছাড়া হওয়ার পর দল দুটি বলতে গেলে কোনো বিষয়েই একমত হতে পারছে না। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।

বিএনপির দাবি, সবার আগে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। জামায়াত বলছে,  স্থানীয় সরকার নির্বাচনই আগে হওয়া বাঞ্ছনীয়।  ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটিও সবার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে জোর প্রচার চালাচ্ছে। এই সংগঠনের এক নেতা বলেছেন,  বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করলে তারাও জাতীয় নির্বাচন করতে পারবে না। ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আওয়াজ দিয়ে এখন সবাই চুপচাপ। এই সরকারের আমলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে কি না সন্দেহ আছে।

এই প্রেক্ষাপটে শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে বৈঠক আহ্বান করেছে, তা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করবে কি না, তা অনেকটা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলের ওপর। তারা একমত হলে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে না।
যদি একমত না হতে পারে?

সংবিধান সংস্কার কমিশন উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালুর কথা বলেছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি জরিপের বরাত দিয়ে বলল, ৯০ শতাংশ মানুষ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন চায়। এখন যদি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন আগে করার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে কি আমরা ধরে নেব, ৯০ শতাংশ মানুষের বিপক্ষে এটি হয়েছে?

বিএনপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে গেছেন। জামায়াতের নেতারাও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে দাবিনামা দিয়ে এসেছেন। এর পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত নিজেদের শক্তি বাড়াতে সহযোগী দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করছে।
দ্য ডেইলি স্টার–এর প্রধান শিরোনাম: বিএনপি, জামায়াত অন কলিশন’ বা ‘দ্বন্দ্বের পথে বিএনপি-জামায়াত’।

এতে বলা হয়, ‘বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে  টানাপোড়েন এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ এবং সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা নিয়ে মতবিরোধের কারণে। গত সপ্তাহে এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে, যখন দুটি দল একে অপরের বিপরীতে অবস্থান নেয়। বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায়। দলটি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা নিশ্চিত করেছে।’

উল্লেখ্য, আনুপাতিক ভোটের দাবিটি প্রথম আসে বামপন্থী দলগুলোর কাছ থেকে। এরপর জাতীয় পার্টিও আনুপাতিক ভোটের কথা বলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন কমিশন করলে আনুপাতিক নির্বাচনের দাবিটি জোরদার হয়। কিন্তু বিএনপি সাফ জানিয়ে দেয়, তারা নতুন পদ্ধতি মেনে নেবে না। সংবিধান বা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও এ বিষয়ে বড়ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব করেনি।

সংবিধান সংস্কার কমিশন উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালুর কথা বলেছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি জরিপের বরাত দিয়ে বলল, ৯০ শতাংশ মানুষ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন চায়। এখন যদি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন আগে করার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে কি আমরা ধরে নেব, ৯০ শতাংশ মানুষের বিপক্ষে এটি হয়েছে?

২০১৩ সালের ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। ২০১৮ সালে তারা নির্বাচন করেছে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে। ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হলে তাদের নিবন্ধন ফেরত পেতে হবে। জামায়াত নেতারা আশা করছেন, শিগগিরই তারা নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।  

নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিএনপির প্রধান বাধা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে না আসতে পারা। আর জামায়াতের বড় বাধা নিবন্ধন না থাকা। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, শিগগির তাদের নেতা দেশে ফিরে আসছেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পরও এ বিষয়ে কোনো সুসংবাদ নেই।

প্রধান উপদেষ্টা দ্য ন্যাশনালকে বলেছেন, ‘আমরা এসব সুপারিশ নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলো ও সুশীল সমাজের কাছে জানতে চাইব যে আপনারা এখন কোনটা বাস্তবায়ন করতে চান, আর কোনটা আপনারা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করতে চান এবং কোনটা একেবারেই বাস্তবায়ন করতে চান না।’

সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই বৈঠকে তারা তাদের মতামত জানাবে। কিন্তু নাগরিক সমাজ কীভাবে মতামত জানাবে? তাদের সঙ্গে আলোচনাটি হবে কীভাবে? নাগরিক সমাজের একাংশ সরকারেই আছে। তারা নিজেরা কোনো অবস্থান নিতে পারবেন কি না? দ্বিতীয়ত সরকারের বাইরের নাগরিক সমাজের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকবে কি না? তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারবে কি না।

জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার কথা বলেছে। কেননা এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক থাকবে না। নিবন্ধনেরও প্রয়োজন হবে না। আর জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চাওয়ার কারণ, এর মাধ্যমে তারা প্রস্তাবিত দল গুছিয়ে নিতে পারবে। অন্য দলের সমর্থন না পাওয়া প্রার্থীদের নাগরিক কমিটিতে টানার সম্ভাবনাও আছে। নাগরিক কমিটির একজন নেতা ইতিমধ্যে দলীয় পদ ছেড়ে  ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক হয়েছেন। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অন্যান্য দল প্রকাশ্যে না বললেও কোনো বিষয়ে তাদের দৃঢ়মত আছে বলে মনে হয় না। তাদের মূল লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচনে সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগি করে হলেও নিজের অবস্থান সংহত করা। বিএনপি যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের পর জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাদের সেই জাতীয় সরকারের অংশীদার হতেও বাধা থাকবে না।

মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে আসেনি; বরং তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভ ছিল তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জুলাই আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে। আর এই সরকার হলো সেই অভ্যুত্থানের ফসল।

২০০৭ সালের ১/১১–এর পর যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তাদের একটি রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল। তারা নিজেরাই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল। এ কারণে নিজেদের ক্ষমতার ভিত শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচন করেছিল। এর আগে সত্তর ও আশির দশকে দুই সেনা শাসকও একই কাজ করেছেন। এই সরকারের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই, সে ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচনে যাওয়া উচিত হবে কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক ও কবি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন সরক র র ব এনপ র ব যবস থ ঐকমত য র বর ত আওয় ম ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

যত দ্রুত সম্ভব মস্কো ও ওয়াশিংটনে দূতাবাস চালু করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের বৈঠক সাড়ে চার ঘণ্টা পর শেষ হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে সব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবি বলেছেন, এই বৈঠক একটি দীর্ঘ ও কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যাত্রার প্রথম ধাপ। বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রায় তিন বছর ধরে ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই সময়ের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসল ওয়াশিংটন ও মস্কো। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেনকে যুক্ত করা হয়নি। আমন্ত্রণ পায়নি ইউরোপে ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোও।

আলোচনার মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও মস্কোর অবস্থান একই দিকে এগোচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল আলোচনায় অংশ নেওয়া রুশ প্রতিনিধি ইউরি উশাকভের কাছে। তিনি বলেন, ‘তারা কাছাকাছি আসছে কি না, তা বলা কঠিন। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।’

ক্রেমলিনের এই সহযোগী আরও বলেন, ‘আমরা যেসব বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম, তার সব কটি নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় হয়েছে।’ ইউক্রেন নিয়ে কথা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আলোচনা করেছি এবং আমাদের নীতিগত পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরেছি। আর একমত হয়েছি যে সময়মতো মধ্যস্থকারীদের দুটি দল এ বিষয়ে যোগাযোগ করবে।’

বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন। সেগুলো হলো:

দুই পক্ষই ওয়াশিংটন ও মস্কোতে দুই দেশের দূতাবাসে কর্মীদের ফিরিয়ে সেগুলো সচল করার বিষয়ে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সহায়তার জন্য দুই দেশই একটি করে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করবে।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র খতিয়ে দেখবে দুই পক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুঝতে পেরেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের একটি ‘ন্যায্য ও স্থায়ী’ সমাপ্তি টানার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায়’ সম্পৃক্ত হতে মস্কো আগ্রহী।

মার্কো রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইউক্রেনের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য’ হবে। এই প্রক্রিয়া থেকে ইউক্রেন ও ইউরোপকে দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নাকচ করেছেন তিনি।

অপর দিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ তিনটি বিষয়ে মতৈক্য হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো:

যত দ্রুত সম্ভব দুই দেশ একটি অন্যটিতে অবস্থিত দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেবে। দূতাবাসগুলোতে ব্যাংক লেনদেন বাধা অপসারণসহ কূটনৈতিক মিশনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।

ইউক্রেন বিষয়ে সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিনিধি নিয়োগ দেবে। তারপর রাশিয়া তাদের প্রতিনিধি নিয়োগ দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পুরোদমে সহযোগিতা পুনরায় চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করা হবে।

আরও পড়ুনপ্রয়োজন হলে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন পুতিন: ক্রেমলিন২ ঘণ্টা আগে

লাভরভ বলেছেন, ‘এটা খুবই উপকারী আলোচনা হয়েছে। আমরা একে অপরের কথা শুনেছি।’

দুই পক্ষের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নেন। আলোচনা শুরুর আগে সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

এই আলোচনা ‘খুবই গঠনমূলক’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান এবং মস্কোর অর্থনীতিবিষয়ক মধ্যস্থতাকারী কিরিল দমিত্রিয়েভ। তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছি... সেখানে (বৈঠকে) অনেক ঠাট্টাতামাশা হয়েছে।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যখন আলোচনার টেবিলে, জেলেনস্কি তখন এরদোয়ানের কাছে১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যত দ্রুত সম্ভব মস্কো ও ওয়াশিংটনে দূতাবাস চালু করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া