ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাতটা। পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। তখনো শহরের চিরচেনা কোলাহল শুরু হয়নি। তবে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর করিম সুপার মার্কেটের চিত্র ভিন্ন। মার্কেটের আশপাশে ৫০০ গজের মধ্যে সকালে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য বসে বাগদা চিংড়ির পোনা (রেনু) বিক্রির বাজার।

সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করেন পোনা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। রোদের তেজ বাড়ার আগেই বেচাবিক্রি শেষ হয়ে যায়। দুই ঘণ্টায় বাজারটিতে কোটি টাকার বেশি পোনা বিক্রি হয়। ভরা মৌসুমে বিক্রি বাড়ে আরও কয়েক গুণ।

গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সোয়া সাতটার দিকে কক্সবাজার থেকে চিংড়ির পোনা নিয়ে ট্রাক এসে মার্কেটের সামনে দাঁড়ায়। মুহূর্তেই কয়েক শ মানুষ গাড়ির পাশে ভিড় করেন। ট্রাক থেকে পোনাভর্তি কর্কশিটের বাক্স নামানোর পর পিকআপ, মাহেন্দ্রা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন বাহনে করে সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় নেওয়া হচ্ছে। সকাল ৭টায় শুরু হওয়া বাজার ৯টার পর একেবারেই কোলাহলশূন্য। পোনা ব্যবসায়ীদের কার্যালয় খোলা থাকলেও কোনো ভিড় নেই।

জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় ৬৫ হাজার ৫৩৬ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ির ঘের আছে ৫৪ হাজার ৯৩৫টি। এসব ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষের জন্য ৩২০ থেকে ৩৫০ কোটি পোনার প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ পোনা কক্সবাজারের বিভিন্ন হ্যাচারি থেকে আসে। বাকিগুলো প্রাকৃতিকভাবে সুন্দরবন বা অন্য উৎস থেকে উৎপাদন করা হয়।

সাতক্ষীরা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী সমিতির তথ্যমতে, সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৬৪। এ ছাড়া জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক ব্যবসায়ী আছেন।

সকালে রোদের তাপ ছড়ানোর আগে বাগদা চিংড়ির পোনা বাজার থেকে নিয়ে গন্তব্যে ছুটছেন চিংড়িচাষিরা। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর করিম সুপার মার্কেটের সামনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করলেন হাসনাত

কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিজ গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

সোমবার সকাল ৯টায় দেবিদ্বার উপজেলার গোপালনগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন তিনি। এ সময় আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন হাসনাত।

নামাজের আগে হাসনাত আবদুল্লাহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসন থেকে হাসনাত আবদুল্লাহর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। হাসনাতকে এক নজর দেখার জন্য তার গ্রামের বাড়িতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

নামাজ শেষে এলাকাবাসীকে নিয়ে গোপালনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জিয়ারত ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এদিকে দিনভর হাসনাত আবদুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করলেন হাসনাত