ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বিজিবি জানায়, গত বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বেতনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৬৬/১-এস-এর বিপরীতে ভারতের কাদেরগঞ্জ ক্যাম্পের টহলদল দুই বাংলাদেশিকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, রানীশংকৈল উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের দুলাল শীলের ছেলে বিকাশ শীল (২২) ও মদন নাথের ছেলে পূর্ণ নাথ (২৬)।

বিএসএফ জানায়, ওই সময় আরও তিনজন বাংলাদেশি পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেন। পরে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে এবং আটকদের ফেরত আনার জন্য সমন্বয় করে। বৃহস্পতিবার সীমান্ত পিলার ৩৬৬/২-এস-এর কাছে ভারতের মানিকখাড়ী এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

পরে বিজিবি আটক দুই ব্যক্তিকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হরিপুর থানায় সোপর্দ করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফকে বিজিবি মহাপরিচালকের আহ্বান

ভারতের নয়াদিল্লিতে চার দিনব্যাপী মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। এ সময় তিনি সীমান্তে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালকের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।

এ ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ এবং আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্য রেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন ও আলোচনার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

শুক্রবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল এবং বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তবর্তী নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, অবৈধ মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন এবং ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিএসএফ মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা কমানোর লক্ষ্যে ‘অ-প্রাণঘাতী’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ে একমত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্ত সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
  • সীমান্তে স্থাপনা-বেড়া নির্মাণে যৌথ পরিদর্শন-দলিলের সিদ্ধান্ত
  • সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে বিএসএফকে বিজিবি মহাপরিচালকের আহ্বান
  • দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ছয় বিষয়ে মতৈক্য
  • ভাষা শহীদদের প্রতি বিজিবির শ্রদ্ধা নিবেদন
  • সীমান্ত সহযোগিতার নতুন অঙ্গীকার বিজিবি–বিএসএফের