সাতক্ষীরার বইমেলায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর স্টলে ভাঙচুর ও ব্যানারে অগ্নিসংযোগ, ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’র স্টলে হামলা এবং টাঙ্গাইলে লালন স্মরণোৎসবে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে উদীচী। সমাবেশ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে কোনো অশুভ শক্তি যেন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে উদীচী চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী একের পর এক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। মাজার ভাঙা হচ্ছে, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হচ্ছে, বাউলগানের আসরসহ লোকসংস্কৃতি চর্চার সব আয়োজনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা বলেন, এমনকি সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে সংস্কারের নামে বারবার সংবিধান, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্মৃতিচিহ্নগুলোর বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, আওয়ামী লীগের পুরো শাসনামল জুড়েই নানা অন্যায়-অবিচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল উদীচী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা। সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে উদীচীই প্রথম এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি এবং ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার দাবিতে বিবৃতি দিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করে।

অমিত রঞ্জন বলেন, এত কিছুর পরও উদীচীর নামে নানা অপপ্রচার চালিয়ে উদীচীর কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সাতক্ষীরায় উদীচীর স্টলে হামলা যার সবশেষ উদাহরণ। কিন্তু যত বাধাই আসুক, সত্য ও ন্যায়ের সংগ্রাম থেকে উদীচীকে কখনোই বিচ্যুত করা যাবে না।

উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি প্রবীর সরদার বলেন, উদীচী স্পষ্ট করে বলতে চায়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে যারাই বেইমানি করার চেষ্টা করবে, সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিরোধ করবে। এক ফ্যাসিবাদী অপশক্তির বিদায় হয়েছে; নতুন করে যেন আর কোনো ফ্যাসিস্টের জন্ম না হয়।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হীরক রাজা, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আরও পড়ুনসাতক্ষীরায় বইমেলায় পোড়ানো হলো উদীচীর স্টলের ব্যানার১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। আজ রোববার মাধবপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কনভেশন সেন্টারে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উপজলা বিএনপির সভাপতি সামসুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনির সঞ্চালনায় ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ মো. শাহজাহান, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী গোলাপ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুকুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাজী অলিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সোহাগ, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারম্যান মীর খুরশেদ আলম, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান খাঁন, বাবুল হোসেন প্রমুখ।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান বলেন, দেশে এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্টা করতে আমাদের অনেক কর্মী শহীদ হয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে মাধবপুর উপজেলা ও পৌরসভার ১০৮টি ওয়ার্ডে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও ইফতার আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পথচারীর জন্য ইফতার
  • ২২ সদস্যের ছাত্রদল কমিটির ১১ জনই ছাত্রলীগ নেতা
  • সিলেটে বিএনপির নিষ্ক্রিয় নেতাদের দলে ফেরা নিয়ে গুঞ্জন
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল