সুদানে নৌঘাঁটি গড়বে রাশিয়া, চুক্তি সই
Published: 14th, February 2025 GMT
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের লোহিত সাগর উপকূলে রাশিয়ার নৌঘাঁটি গড়তে ‘আর কোনো বাধা নেই’। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে খার্তুম।
নৌঘাঁটি স্থাপন নিয়ে একটি চুক্তির বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের সঙ্গে আলোচনা করেছিল রাশিয়া। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। পরে সামরিক সরকার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের কথা জানায়।
গত বুধবার সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইউসিফ বলেন, চুক্তি সই হয়েছে। একটি ‘বন্দর’ স্থাপন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁরা ‘পুরোপুরি একমত’ হয়েছেন। চুক্তিটি এখন শুধু অনুমোদন বাকি রয়েছে।
হর্ন অব আফ্রিকা উপকূলে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ফ্রান্সের নৌবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও বাণিজ্যিক পথ।
মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউসিফ বলেন, ‘রাশিয়ার নৌঘাঁটির বিষয়ে চুক্তি নিয়ে সুদান ও রাশিয়া সমঝোতায় পৌঁছেছে। বিষয়টি সহজভাবে বলতে গেলে, আমরা সব বিষয়ে একমত হয়েছি।’
এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। এ নিয়ে লাভরভও কোনো মন্তব্য করেননি।
ওমর আল-বশির ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৯ সালে চুক্তিটি নিয়ে প্রথমে আলোচনা হয়। সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০২০ সালে নভেম্বরে প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে
গার্মেন্টস-সহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন ভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবিসমূহের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতনভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবিসমূহের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তবে অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবির নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সরকার তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ের সহযোগিতা কামনা করছে।’