নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল ট্রাফিক ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (টিআই) আবু নাইম কর্তৃক সাইনবোর্ড স্ট্যান্ডে রাসূলুল্লাহ (সঃ) জামে মসজিদ ভেঙ্গে দেয়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওই মসজিদের মুসল্লী ও এলাকাবাসীরা। 

শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মসজিদে রাসুল (সা:) জামে মসজিদের খতিব মুফতি হাফেজ মাওলানা হাসান মুরাদ, এসময় বক্তব্য রাখেন,  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডেমরা থানা শাখায় যুগ্ন আহবায়ক  কেফায়েত উল্লাহ, মুখ্য সংগঠক জুয়েল হোসেন (ইয়াসিন), মুসলিম নগর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সভাপতি আশরাফুল আলম, ঢাকা ফ্রেন্ড ক্লাবের সভাপতি, সজল মোল্লা, নবজাগরণ ছাত্র সংঘ সভাপতি মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহসহ কয়েকশত ধর্মপ্রাণ মানুষ। 

এসময় বক্তারা বলেন, সাইনবোর্ড স্ট্যান্ডে এলাকাবাসী ও যাত্রীদের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এলাকাবাসীর সহযোগিতার নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটি ভেঙে মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে হুমকি দিচ্ছে শিমরাইল ট্রাফিক ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর আবু নাইম। 

এসময় এলাকাবাসী ও মুসল্লীরা টিআই আবু নাইমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। পাশাপাশি আল্লাহর ঘর মসজিদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে এর ফল ভালো হবে না বলেও জানান বক্তারা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: মসজ দ ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভাষা শহীদদের প্রতি নাঃগঞ্জ গণ অধিকার পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন  

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দরা।

একুেশের প্রথম প্রহরে (২১ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভাপতি ইন্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একটি শোক ও বেদনার দিন হলেও, এটি বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক বিশেষ দিন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র, যুবক এবং সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মিছিলের গতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক শহীদ হন।

গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি ডা. মোঃ আসিফ মাহমুদ বলেন, ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলার তরুণদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে।

বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সেদিন যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, তাদের রক্তের বিনিময়েই পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। সেই থেকেই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে "ভাষা শহীদ দিবস" হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করে।

তাই আমাদের দাবী ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের জন্য ও নতুন স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে নতুন রাজনীতি প্রয়োজন।

নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন এবং নতুন সংস্কৃতি প্রয়োজন। এদেশের মানুষ রাজনীতি দ্বারা বারবার প্রতারিত হয়েছে। তাই জনগণ এখন নতুন নেতৃত্বকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইন্জিনিয়ার নাহিদ, সহ-সভাপতি ডা. মোঃ আসিফ মাহমুদ, সেক্রেটারী কাউসার আহমেদ শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল ও আখতারুজ্জামান রাজু সহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাষা শহীদদের প্রতি নাঃগঞ্জ গণ অধিকার পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন  
  • এবার কুয়েট ভিসির বাসভবনে তালা শিক্ষার্থীদের
  • ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রদল-গণ অধিকার পরিষদের কথা কাটাকাটি
  • চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি, ২ থানা ঘুরে মামলা 
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিকে বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা
  • ‘আমার কথা মতো উপজেলা চলবে, কথা না শুনলি চাকরি কত্তি পারবা না’
  • কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন
  • কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুয়েটে হামলা: জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানববন্ধন
  • ‘ছাত্রদের গায়ে গুলি লাগার আগে সেই গুলি আমার বুকে লাগবে।’