ভরপুর ভালোবাসা এই ৫ কোরীয় ধারাবাহিকে
Published: 14th, February 2025 GMT
‘গার্ডিয়ান: দ্য লোনলি অ্যান্ড দ্য গ্রেট গড’
৯৩৯ বছর বয়সী এক দেবতা, গবলিন নামে পরিচিত। অন্যদিকে জি ইউন-তাক স্কুলপড়ুয়া এক দুরন্ত কিশোরী। ভালোবাসার গল্পটা কীভাবে জমবে? গোবলিন যেখানে গম্ভীর, স্মার্টফোনই ব্যবহার করতে পারেন না, সেখানে ইউন বেশ চটপটে। কিন্তু ঘটনাক্রমে দুজনের মধ্যে এমন এক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়, যা দেখে শেষমেশ আপনার চোখ ভিজে যেতে পারে।
‘মাই লাভ ফ্রম দ্য স্টার’
১৬০৯ সালে পৃথিবীতে আসে ডু মিন-জুন নামের এক এলিয়েন। পৃথিবীতে আটকে যাওয়ায় নিজ গ্রহে আর ফিরে যেতে পারে না মিন। ৪০০ বছর পর প্রেমে পড়ে যায় আধুনিক যুগের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে, যা নিয়েই মূল নাটক।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উপজেলায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক
বিগত ৫০ বছরেও যে কাজটি করা সম্ভব হয়নি, তা করে দেখিয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সঙ্গে জেলার যোগাযোগব্যবস্থার যে ভয়াবহ সংকট ও দুর্ভোগ ছিল, তা নিরসন হয়েছে। ফলে সন্দ্বীপকে ঘিরে যাবতীয় সিন্ডিকেট ও সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের দৌরাত্ম্যও বন্ধ হলো। এখন ঢাকা–চট্টগ্রাম থেকে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক সরাসরি সন্দ্বীপ চলে যাচ্ছে। তবে আশঙ্কা হচ্ছে, দ্বীপটির অভ্যন্তরের সড়কগুলো এসব গাড়ির চাপ নিতে পারবে তো?
চারপাশে জলবেষ্টিত সন্দ্বীপ মাত্র ৭৫০ বর্গকিলোমিটারের এক টুকরা ভূখণ্ড। এ অঞ্চলের প্রায় চার লাখ বাসিন্দার যাতায়াতব্যবস্থার জন্য রয়েছে কুমিরা-গুপ্তছড়াসহ ছয়টি নৌপথ। একটি মাত্র যাত্রীবাহী জাহাজে মানুষ যাতায়াত করতেন এত দিন। পাশাপাশি স্পিডবোট, কাঠের ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার হতো। ঘটত অনেক দুর্ঘটনা। ছিল কাদা মাড়িয়ে হাঁটার দুর্ভোগ। ফেরি চালু হওয়ায় এসব দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেলেন সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। আর যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে বা মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় ট্রলার বা স্পিডবোটচালক বা মালিকদের কাছে একপ্রকার জিম্মি হয়ে থাকতে হতো দ্বীপবাসীকে। এবারের ঈদযাত্রা সেসব ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলেন দ্বীপবাসী।
২৪ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ফেরিঘাট নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে কয়েকটি বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। ট্রাকভর্তি সবজিসহ কাঁচা পণ্যও সহজেই নেওয়া যাচ্ছে সাগরদ্বীপটিতে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার আগে ট্রলারে করে পণ্য আনা-নেওয়া হতো দ্বীপটিতে। এতে খরচ ও সময় বেশি লাগত।
মার্চ মাসের পর থেকেই ধীরে ধীরে সন্দ্বীপ চ্যানেল অশান্ত হয়ে ওঠে। জোয়ার-ভাটায় এ রকম বিশাল তারতম্যের কারণে এ চ্যানেলে ফেরি চালানো অনেক কঠিন হবে। সে সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতেও হতে পারে বলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ উপকূলীয় এলাকায় চলাচলের উপযোগী ফেরি নির্মাণ করছে। আগামী বছর থেকে এই সমস্যা আর থাকবে না বলে তারা আশা করছে। আমরা তাদের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। সন্দ্বীপের সঙ্গে এ ফেরি যোগাযোগ আক্ষরিক অর্থেই কার্যকর ও টেকসই হোক।
তবে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী বাস চলাচলের কারণে দ্বীপের অভ্যন্তরে সড়ক নিরাপত্তায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অপেক্ষাকৃত সরু সড়কে বাস ও ট্রাক চলাচল করছে। অনেকে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। আশা করি, দ্বীপের ভেতরের সড়কগুলোতে বাস ও ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যত্রতত্র ও বেপরোয়া যান চলাচল রোধে সুশৃঙ্খল নিয়মের মধ্যে বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক।