যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আগামীকাল শনিবার আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে। তাঁরা হলেন আয়ার হর্ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক সাগুই ডেকেল-চেন এবং রাশিয়া ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক আলেকসান্দ্রে সাশা ত্রোফানভ।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকবে কি না, এমন অনিশ্চয়তার মধ্য আজ শুক্রবার এই তিন ইসরায়েলি বন্দীর নাম ঘোষণা করে হামাস। এর আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্দিবিনিময় স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল সংগঠনটি।

এরপর গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সীমান্তে সেনা ও সামরিক সরঞ্জামও বাড়াতে থাকে ইসরায়েল। এ অবস্থায় মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের হস্তক্ষেপে চুক্তি মেনে বন্দী মুক্তি দিতে রাজি হয় হামাস।

মুক্তি পেতে যাওয়া তিন বন্দীর তালিকা হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এই তিন বন্দীর বিনিময়ে ইসরায়েল ৩৬৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করছে হামাস।

প্রথম ধাপে গাজায় ৪২ দিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া কথা। গত ১৯ জানুয়ারি এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীন ৩৩ ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেবে হামাস।

চুক্তি মেনে এখন পর্যন্ত ১৬ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এ ছাড়া নিজেদের উদ্যোগে পাঁচ থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে সংগঠনটি। বিনিময়ে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মাসব্যাপী নামাজ পড়া ৩২ কিশোরকে সাইকেল দিল মহানগর উত্তর বিএনপি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে অভিনব কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। রোজার শুরুতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়- মাসব্যাপী যে সকল শিশু-কিশোর মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন তাদের প্রত্যেককে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হবে। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজধানীর রূপনগর-পল্লবী এলাকার ৩২ শিশু-কিশোরকে বাইসাইকেল উপহার তুলে দেয় সংগঠনটি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই মহতি উদ্যোগের প্রশংসায় ভাসছে সংগঠনটি। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে চেটেপুটে খেয়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও শেখ পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা আগেই পালিয়ে গেছে। কারণ, বিদেশে তাদের বাড়িঘর আছে। 

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে দেশের এই তরুণ-কিশোররা জীবন দিয়ে লড়েছে, রক্ত দিয়েছে, গুলির সামনে দাড়িয়েছে মুগ্ধ, আকরাম, আবু সাঈদরা। তাদের এই আত্মদান মহিমান্বিত। তরুণ-কিশোরদের আন্দোলনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা। 

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে যখনই কোন ক্রান্তিকাল এসেছে তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার নির্যাতনে দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে ফেরারি জীবনযাপন করেছে বিগত দিনে। মামলার কারণে বাবার লাশ পর্যন্ত দাফনে যেতে পারেনি তারা। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় গেছে। এতে দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও এখনো আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। এখনো দেশের জনগণ ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়নি। 

আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এখন নানান টালবাহানা শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টা শুরুতে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কথা বললেও এখন সেখান থেকে সরে এসে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছে। সরকারের মধ্যকার কিছু গোষ্ঠীর ক্ষমতার মোহে সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচারের নামে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার টাকার বিনিময়ে হাজার টাকার পণ্য পেলেন চা-শ্রমিকেরা
  • নড়াইলে শ্রমজীবীদের পাঞ্জাবি উপহার
  • রমজান জুড়ে ৫ জেলায় এস্পায়ার বাংলাদেশের সহায়তা
  • মাসব্যাপী নামাজ পড়া ৩২ কিশোরকে সাইকেল দিল মহানগর উত্তর বিএনপি