Prothomalo:
2025-04-18@14:31:17 GMT

চেরনোবিলে রুশ ড্রোন হামলা

Published: 14th, February 2025 GMT

রাশিয়ার ড্রোন হামলায় চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণের সুরক্ষা প্রাচীরে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ দাবি করেছেন। আগের দিন রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অবশ্য জেলেনস্কি এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ওই ঘটনার পরও তেজস্ত্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। এমন সময় এ ঘটনা ঘটল, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জড়ো হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের নেতারা।

চেরনোবিলে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৮৬ সালে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি চুল্লির একটি বিস্ফোরিত হয়। ওই চুল্লিটির দীর্ঘমেয়াদি তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণে এটিকে সুরক্ষা প্রাচীর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বশেষ সক্রিয় চুল্লিটি ২০০০ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরপরই রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা করে রাশিয়া। ওই সময় চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এর আশপাশের এলাকা এক মাসের বেশি সময় দখল করে রেখেছিল রুশ বাহিনী।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ধ্বংস হওয়া ইউনিটের সুরক্ষা প্রাচীরে রাশিয়ার ড্রোন আঘাত হানে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, সুরক্ষা প্রাচীরের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক সুরক্ষা প্রাচীরের কিছু ছবি পোস্ট করেন। এসব ছবিতে সুরক্ষা প্রাচীরের ওপরের দিকে ছোট আকারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

জেলেনস্কি বলেন, ‘কোনো ধরনের পরিণতির কথা না ভেবে আজকের দিনে এ ধরনের স্থাপনায় হামলা চালানো, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে নেওয়া এবং যুদ্ধ শুরু করার কাজটি একমাত্র রাশিয়াই করতে পারে।’

মিউনিখ সম্মেলনে নজর

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানিতে অবস্থান করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। গতকাল সম্মেলন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই জেলেনস্কির সঙ্গে এই বৈঠকের কথা জানা গেল।

মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে রাজনৈতিক নেতা, সামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা অংশ নেন। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর শান্তি আলোচনা নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণায় ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন। তাদের আশঙ্কা ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি পক্ষপাত দেখাতে পারেন। ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে।

জেলেনস্কি বলেছেন, আলোচনার টেবিল থেকে তাঁদের বাদ রাখা হলে তাঁরা কোনো ধরনের চুক্তিতে সম্মত হবেন না। তিনি মনে করেন, আলোচনার টেবিলে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদেরও থাকা প্রয়োজন।

যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত থাকার বিষয়ে পুতিন যে দাবি করেছেন, তা বিশ্বাস না করার জন্যও পশ্চিমা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধিদল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বান্দরবান জেলা পরিদর্শনে আসেন।

প্রতিনিধিদল বান্দরবানের নীলাচলে এসে পৌঁছালে সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্যের বিষয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রতিনিধিদলকে ধারণা দেন এবং বান্দরবান জেলার পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা ও পর্যটনের রূপবৈচিত্র্যময় অপার সৌন্দর্যের ভিউগুলো  তাদের ঘুরিয়ে দেখান।

আরো পড়ুন:

‌‘নয় মাসে অর্জন করেছি এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা’

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্ক হিমায়িত ছিল, বাধা অতিক্রম করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালিয়ান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে ইইউই অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার ও মিজ ক্যাটেরিনা মিলার, ইতালিয়ান নাগরিক আন্তেনিও আলেসান্দ্রো ও পাওলা বেনিফিওর এবং ডাচ আইনজীবী এন্ড্রে কার্স্টেন্স উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার বান্দরবান এসে পৌঁছান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য উপদেষ্টার সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানসামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিস চাকমা, বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ