ক্যাডার অফিসার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার কেরানীগঞ্জের  জান্নাতবাগে (সচিব বাড়ি) সমিতির প্রথম প্রজেক্ট COHS-01 এ সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থী, পোলিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোটের মাধ্যমে বই প্রতীক নিয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন  মো.

আকতার হোসেন(প্রশাসন ক্যাডার),দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন তোফায়েল আহম্মদ (সমবায় ক্যাডার), মাছ প্রতীক নিয়ে সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন (সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার), হরিণ প্রতীক নিয়ে যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডা. মো. আহসান হাবিব (স্বাস্থ্য  ক্যাডার) ও  মই প্রতীক নিয়ে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. নূর-ই-জান্নাত (সমবায় ক্যাডার)।

ব্যবস্থপনা কমিটির নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেনঃ মো. রিয়াজ উদ্দিন (সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার), মোহাম্মদ আকতার হোসাইন অভি (স্বাস্থ্য ক্যাডার), মো. মাহবুব-এ-এলাহী (সড়ক ও জনপথ ক্যাডার) এবং মো. ইউনুস আলী মনজু (পশু সম্পদ ক্যাডার)।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র ব চ ত হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভিন্নমতের জায়গাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, এক নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের কাজ সবাই মিলে যেন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি। যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ফেরত না আসে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।

এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে আলী রায়ীজ আরও বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আপনাদের কিছু একমত, কিছু ভিন্নমত আছে। আমরা একমতের জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি, সেগুলো নিয়ে অগ্রসর হব। যেসব জায়গায় আংশিকভাবে একমত বা ভিন্নমত সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা করব এবং প্রয়োজনে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। কেননা আমরা চাই, জাতির আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে।

বৈঠকে এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনারা প্রাণবাজি রেখে লড়াই করে ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন। সেই বিজয়ের পাশাপাশি আপনারা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চান এবং আপনাদের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা উন্মত্ত হয়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, এ দেশের ইতিহাসে আমরা বারবার দেখেছি, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে পর্যুদস্ত করা হয়, কী করে গণতন্ত্রের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়, সে বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। রাষ্ট্রকে কীভাবে এক ব্যক্তির করতলগত করে একটি শাসনব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন‘মৌলিক সংস্কার’ বলতে কী বোঝাতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি৩ ঘণ্টা আগে

এখন এক নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ সবাই মিলে যেন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি। যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন ফেরত না আসে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থায়ী রূপ নেয় এবং যেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সমস্ত নিপীড়ন মোকাবিলা করতে পারি। সেই ব্যবস্থাগুলোকে অপসারণ করতে পারি।’

সভায় কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, এনসিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন,

জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, মূখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ