শবে বরাত: পুরান ঢাকায় বাহারি রুটি
Published: 14th, February 2025 GMT
ভোজন রসিক হিসেবে পুরান ঢাকার মানুষের একটা পরিচিতি আছে। যেকোনো উৎসবে খাবারের আয়োজনটা যেন আরো বাড়তি মাত্রা যোগ করে। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে দুই ঈদের পর পুরান ঢাকাবাসীর কাছে শবে বরাত অনেক বড় উৎসব।
শবে বরাতে হালুয়া-রুটি খাওয়া কিংবা প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করার বিষয়টি চলে আসছে বহু বছর ধরে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও শবে বরাতকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় রুটির দোকানের পসরা বসে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, আরমানিটোলা, গেন্ডারিয়া, রায় সাহেব বাজার, নারিন্দা, কলতাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
টুপি ও আতরের দোকানে ভিড়
শবে বরাতের রাতে আতশবাজি-পটকা ফোটালে ব্যবস্থা
মোড়ে মোড়ে বসেছে এসব রুটির দোকান। নানান রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। থরে থরে সাজানো রুটি। মাছ, কুমির, গোলাকারসহ বিভিন্ন আদলে এসব রুটি তৈরি করা হয়েছে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা দামের রুটিও রয়েছে এসব দোকানে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দয়াগঞ্জের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বলেন, “১০ থেকে ১২ বছর ধরে শবে বরাত উপলক্ষে রুটি বিক্রি করছি। তবে এবার ক্রেতা কম। বিক্রি নাই বললেই চলে।”
যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী মো.
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০ থেকে ৬০০ টাকা দামের রুটির কদর বেশি। ক্রেতারা এসবই কিনছেন বেশি। অনেকে জানিয়েছেন, ভোর রাত পর্যন্ত তারা বিক্রি চালিয়ে যাবেন।
তবে রুটির দোকানে হালুয়া বিক্রি করতে দেখা যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, অনেকে বাসায় তৈরি করেন। আবার কেউ কেউ খাবারের হোটেল থেকে কিনে নিয়ে যান।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎসব ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
‘পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসার করতে হবে’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গভীরভাবে যুক্ত। আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ মানে পরিবেশ রক্ষা করা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের এজওয়াটার গ্যালারিতে মাহীন খানের বৈশাখী উৎসব ও "ক্রাফটিং দ্য মেনি থ্রেডস অফ কালচারাল টেক্সটাইলস’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফ্যাশন ডিজাইনার মাহীন খানের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এই প্রদর্শনী ডিজাইনারের সৃজনশীলতার পরিচয়। তিনি ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে টেকসই পন্থা গ্রহণ করেছেন। এই কাজ শুধু শিল্প নয়, এটি টেকসই ভবিষ্যতের পথও দেখাবে।”
আরো পড়ুন:
‘বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে সহযোগিতা করবে সুইডেন’
পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনে পর্যটননির্ভর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
প্রদর্শনীর সঙ্গে মিল রেখে বৈশাখী উৎসবে গান, ফ্যাশন শো এবং বাংলার নববর্ষ উদযাপন হয়। এতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী, ডিজাইনার ও সংস্কৃতিমনা দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য দেন ডিজাইনার মাহীন খান, আয়োজক শৈবাল সাহা, ইউসিবি ও এমটিবি ব্যাংকের প্রতিনিধি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ