রূপগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০টি ঘরে ভাংচুর করে দরজা-জানালা, ঘরের ভেতরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত থেকে সকাল অব্দি চলে এ লুটপাটের ঘটনা। পরে ২০ টি গৃহহীন অসহায় পরিবার প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তারিকুল আলম, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী, রূপগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ক্যাপ্টেন জিসান আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী মিলে মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রতিটি ঘরে হামলা করে। পরে বাঁধা দিলে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ঘরের দরজা-জানালা, ঘরের ভেতরের টিভি, ফ্রিজ, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

একাধিক ব্যক্তি প্রশ্ন তোলে বলেন, প্রশাসনিক কার্যালয় এবং থানা কার্যালয় থেকে ঘটনাস্থলের দুরত্ব সর্বোচ্চ ৫ মিনিটের পথ। ঘটনা শুরু হয় ভোররাতে আর পুলিশ-প্রশাসন আসে ১০/১২ ঘন্টা পর। তাৎক্ষণিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে আসলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কোন কুচক্রী মহল এমন কাজ করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

ঘটনাস্থলে আসতে ১০/১১ ঘন্টা সময় লাগার কারন জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আমরা খবর পেয়েছি পরে। তবে খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে হামলার ঘটনার খবর জেনেছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ খবর প

এছাড়াও পড়ুন:

প্রচলিত প্রবৃদ্ধির মডেল পর্যালোচনা করা প্রয়োজন: হোসেন জিল্লুর রহমান

উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির মডেল (গ্রোথ মডেল) পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামো নির্মাণকে প্রবৃদ্ধির চলক হিসেবে ধরা হয়েছে; উপেক্ষা করা হয়েছে দক্ষ ও টেকসই কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়কে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত তিন দিনের অর্থনীতি সম্মেলনের শেষ দিনে এক গণবক্তৃতায় এ কথা বলেন হোসেন জিল্লুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘সুশাসন ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক এ গণবক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সস্তা শ্রমকে দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন মডেলের মূল শক্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। এখন আমাদের সস্তা শ্রম থেকে বেরিয়ে উৎপাদনশীলতা এবং রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়া উচিত কি না, সেটি দেখা প্রয়োজন। আবার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি স্থানীয় বিনিয়োগও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগ কম হচ্ছে; কর্মসংস্থান বাড়ছে আরও কম। আগে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিপরীতে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান হতো, এখন তা হচ্ছে না।’

হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য অতীতে যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেগুলো এখন অচলায়তনে পরিণত হয়েছে। একদিকে প্রতিষ্ঠান অনেক বেড়েছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন কমেছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান বাড়ানো হলেও প্রয়োজনীয় লোকবল দেওয়া হয়নি। এসব কারণে সংস্কারের উদ্যোগ অচলায়তনে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লার বার্ড এ ক্ষেত্রে একটি বড় উদাহরণ। এমন হাজারো উদাহরণ আছে।

হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, বিষয়টি বোঝা খুব জরুরি। তা না হলে এখনো যেসব সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হবে, সেগুলোর একই পরিণতি হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ