নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার সময় প্রাইভেটকারে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় রংধনু সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনেরা ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছে।

নিহত শিশুটির নাম মো.

জিহান। সে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার মো. শরীফের ছেলে। মা–মামার সঙ্গে সে নরসিংদীতে খালার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল।

জিহানের স্বজনেরা জানান, বিকেলে শিশুটিকে নিয়ে তার মা ও মামা নরসিংদীতে খালার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। রূপসী থেকে তাঁরা একটি প্রাইভেটকারে করে রওনা হন। পথে কর্ণগোপ এলাকায় রংধনু ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস নেওয়ার জন্য প্রাইভেটকারের চালক থামেন। গ্যাস নেওয়ার সময় শিশুটির মা ও মামা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তখন গাড়ির ভেতরে ছিল শিশুটি। গ্যাস নেওয়ার সময় হঠাৎ প্রাইভেটকারটিতে আগুন লাগে। মুহূর্তেই ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে প্রাইভেটকারের ভেতরেই আগুনে পুড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন প্রথম আলোকে জানান, আগুন লাগার পর প্রথমে ফিলিং স্টেশনের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে স্টেশনের কর্মরত লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এদিকে শিশুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ফিলিং স্টেশনটি ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময় প্রাইভেটকারে আগুন লেগে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত জিহানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির

শরীয়তপুরের জাজিরায় বণ্যপ্রাণী থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য তৈরি বৈদ্যুতিক ফাঁদে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিয়াকান্দি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি নকিব আকরাম হোসেন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুইজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়ার হলেন- বালিয়াকান্দি এলাকার ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)। 

আরো পড়ুন:

মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে ২ স্কুলছাত্রের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস খাঁ সম্প্রতি তার বাড়ির অদূরে একটি জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলেন। বণ্যপ্রাণী সজারু থেকে ভুট্টা বাঁচানোর জন্য তারের সাহায্যে জমিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়েছিলেন তিনি। আজ সকালে জমিতে দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে ইদ্রিস খাঁ ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম একসঙ্গে ভুট্টা ক্ষেতে যান। এসময় অসাবধানবশত ইদ্রিস খাঁ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্ত্রী সেফালী বেগম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। স্বামীকে স্পর্শ করলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে।

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি নকিব আকরাম হোসেন বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ