প্রধান উপদেষ্টার দুবাই সফর বাংলাদেশ-আমিরাত সম্পর্ক জোরদারে সাহায্য করেছে
Published: 14th, February 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দুবাই সফর বাংলাদেশকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করেছে।”
তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সফরে আমাদের বড় অর্জন হলো- এতে আমিরাতের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এবং সেই কারণেই বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা প্রদান দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত ছিল।”
আরো পড়ুন:
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্কের মধ্যে আলোচনা, ‘আসছে’ স্টারলিংক
তিনি বলেন, “তাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”
প্রেস সচিব বলেন, “এছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় কর্মসংস্থানের জায়গা। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাকুরির বাজারে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের প্রবেশাধিকার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে ডব্লিউজিএস-এ যোগদানের পাশাপাশি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিকল্পনা এবং খেলাধুলা ও শিক্ষা সম্পর্ক জোরদারসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা আমিরাত কর্তৃপক্ষের প্রতি বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশ থেকে আরো কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রফেসর ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলন (ডব্লিউজিএস)-এর ফাঁকে দুবাইতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাথে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি দুবাইতে ডব্লিউজিএস-এর ভেন্যুতে একটি ইন্টারেক্টিভ প্লেনারি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। সিএনএন-এর বেকি অ্যান্ডারসন অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমান বিন মোহাম্মদ আল ওয়াইস ডব্লিউজিএস-এর ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি অধ্যাপক ইউনূসের সাথে বৈঠক করেন।
অধ্যাপক ইউনূস (শুক্রবার) দুবাই শহরে ডব্লিউজিএস-এ যোগদানের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড.
অধ্যাপক ইউনূস ডবি-উজিএস-এ অংশ নিতে বুধবার রাতে দুবাই পৌঁছান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ দুবাই সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
সূত্র: বাসস
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হায়দরাবাদের বিপক্ষে ধীর উইকেটের সুবিধা নিল মুম্বাই
টস জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া কন্ডিশনের পূর্ণ সুবিধা নেয়। দারুণভাবে তা কাজে লাগিয়ে আসরের তৃতীয় জয় তুলে নেয় মুম্বাই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অস্বাভাবিকভাবে ধীরগতির উইকেটে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বাই। সফরকারীদের ইনিংস ৫ উইকেটে ১৬২ রানে সীমাবদ্ধ থাকে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শিশিরের সামান্য সাহায্যে ১১ বল ও ৪ উইকেট হাতে নিয়েই ১৬৬ রান করে ফেলে মুম্বাই।
এই ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করেন মুম্বাইয়ের অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস, এই ইংলিশ ক্রিকেটার মৌসুমের শুরুতে নিষ্প্রভ ছিলেন। নিজের ষষ্ঠ ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন কেন তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তবে অফস্পিনটা আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। জ্যাকস হায়দরাবাদের বাঁহাতি টপ থ্রির বিপক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
জ্যাকসের এই তিন ওভার মুম্বাইকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের সার্ভিস না পাওয়ার ক্ষট ভুলিয়ে দেয়। স্বাগতিকরা তাদের ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার কর্ণ শর্মাকে ইনজুরির কারণে এক বলও করানোর আগেই হারিয়ে ফেলে। যিনি আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা ছিলেন। কর্ণের বদলে কোনো বোলার আনা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় মুম্বাই ব্যাটিংয়ের শুরুতেই রোহিত শর্মাকে ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে নামাতে পারে। যিনি একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই গতি এনে দেন।
আরো পড়ুন:
ধোনি ম্যাজিকে পাঁচ ম্যাচ পর চেন্নাইয়ের জয়
১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটির ৫৯ রান তুলেও ১৪ ওভার শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯৫ রান। শেষমেশ ১৬২ রানের পুঁজি পায় তারা। অষ্টম থেকে থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত মাত্র চারটি চার মারতে পারে সফরকারী দল। হাইনরেখ ক্লাসেন ও নীতিশ কুমার রেড্ডি মিলে এই সময়ে ৩১ রান তোলেন ৩৩ বলে। ট্রেন্ট বোল্টের বলে রেড্ডি সাজঘরে ফিরলে স্কোর দাঁড়ায় ১১৫/৪।
শেষ তিন ওভারে আসে ৪৭ রান। শিশিরের প্রভাব বোঝা যায় সাতটি ফুলটস থেকে, যদিও বুমরাহের এক ফুলটসে ক্লাসেন বোল্ড হয়ে যান। তিনি ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দেন। তবে শেষের দিকে ক্লাসেন, অনিকেত বর্মা ও প্যাট কামিন্স মিলে পাঁচটি ছক্কা মারলে দেড়শর উপর রান পায় হায়দরাসবা। ১৮ ও ২০তম ওভারে আসে ২১ ও ২২ রান।
অভিষেক শর্মা ২৮ বলে ৪০, ট্র্যাভিস হেড ২৯ বলে ২৮ আর ক্লাসেনের ২৮ বলে ৩৭ ও অনিকেত করেন ৮ বলে ১৮ রান। বুমরাহ ও বোল্ট যথাক্রমে ২১ ও ২৯ রান খরচ করে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রোহিত ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ করে আউট হন। রায়ান রিকেলটন ও উইল জ্যাকস জুটি মিলে ৩৭ রান তুলে বোর্ডে। রিলেকটন ২৩ বলে ৩১ করে ফিরে যায়। সেখান থেকে জ্যাকস ও সুর্যকুমার যাদব ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। শেষদিকে কামিন্স এই জুটি ভাঙলেও, হার্দিক ১ ছয় ও ৩টি চার মেরে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। যদিও ১৮তম ওভারে মালিঙ্গা ১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে নাটকীয় মুহুর্তের জন্ম দেন। তবে ১৯তম ওভারের শুরুতেই জয় তুলে নেয় মুম্বাই। কামিন্স ২৬ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।
ঢাকা/নাভিদ