কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার, ভূমি (এসি ল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, এতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনআদালত পরিচালনার সময় দাউদকান্দিতে এসি ল্যান্ডের ওপর হামলা, পাঁচ পুলিশসহ ১০ জন আহত১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এসি ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মো.

হাসান নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে গ্রামের মাঠ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছিল। এতে আশপাশের কৃষিজমিগুলো ভেঙে ক্ষতিসাধন হচ্ছে—এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি (এসি ল্যান্ড) আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওত পেতে থাকা মো. হাসানের লোকজন রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাঁকে (এসি ল্যান্ড) রক্ষার সময় হামলায় থানার এসআই মো. মহসীনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের পাঁচ কর্মী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে এসআই মহসীনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই হামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দলে থাকা ৫ পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন হাসানের স্ত্রী শেলীনা আক্তার ও শেলীনার চাচাতো বোন সাথী আক্তার। মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লিবিয়ার মিসরাতা শহরে অভিযান চালিয়ে ২৩ অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, লিবিয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৩ জন অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিসরাতার আল-গিরান থানায় বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি এই তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ও গ্রেপ্তারদের আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস মিসরাতার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে উদ্ধার বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ