পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই এলাকায় একটি খনির কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন কয়লা খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। খবর রয়টার্সের

একটি ট্রাক শ্রমিকদের নিয়ে হারনাই এলাকার খনিতে যাচ্ছিল, তখন হামলাটি ঘটে। বেলুচিস্তানে অনেকদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে।

পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রাস্তার পাশে একটি ঘরে তৈরি বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। কয়লা খনি শ্রমিকদের বহনকারী ট্রাকটি সেখানে পৌঁছতেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বোমাটির বিস্ফোরণ রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ঘটানো হতে পারে।’

তবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

অঞ্চলটির ডেপুটি কমিশনার হযরত ওয়ালি আগা জানান, ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন।

ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান একটি খনি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে স্থানীয় স্বাধীনতাকামী বেলুচরা প্রায় এক দশক ধরে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। তাদের পাশাপাশি অঞ্চলটিতে জঙ্গিদের তৎপরতাও উল্লেখযোগ্য।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার

খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ