‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি’’ -চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেতে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এভাবে বলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

শান্তর লক্ষ্য পূরণ হলে ট্রফির সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে পাবে ৩০ কোটি টাকার বেশি। আর কোনো ম্যাচ না জিতে ৮ দলের মধ্যে অষ্টম হলেও বাংলাদেশ পাবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) প্রাইজমানির অঙ্ক প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

তাতে দেখা যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৪ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৩০ কোটি থেকে বেশি। রানার্স-আপ দল পাবে তার অর্ধেক তথা ১২ লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ১৫ কোটি টাকার বেশি।

আরো পড়ুন:

সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবে হোয়াইটওয়াশ অস্ট্রেলিয়া

কোহলিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে বাবর

সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৮ কোটি টাকা। ৮ দলের এই টুর্নামেন্টে ৫ম-৬ষ্ঠ হওয়া দলের জন্যও বড় অঙ্কের বরাদ্ধ রেখেছে আইসিসি।

টুর্নামেন্টের ৫ম-৬ষ্ঠ দল পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি টাকায় যা ৫ প্রায় কোটি টাকা। শুধু তাই নয় সপ্তম-অষ্টম হওয়া দলও পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি টাকা।

পুরস্কারের বাইরেও অর্থ বরাদ্ধ রেখেছে আইসিসি। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি টাকায় যা দেড় কোটি টাকার বেশি।

 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দল প ব

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা। 

শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।

টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ