সুন্দরবন রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগ ও পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি
Published: 14th, February 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে নৌকায় ৯০ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালালেন শিকারিরা
সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে ফিরছিল শিকারির দল। বনের খাল ধরে তাঁদের নৌকা এগোচ্ছিল লোকালয়ের দিকে। এমন সময় সেখানে হাজির হন আগে ওত পেতে থাকা বনরক্ষীরা। তাঁদের দেখে নৌকার থাকা মাংসে ফেলে খালের মধ্যে লাফিয়ে সাঁতরে বনের গহিনে পালিয়ে যান হরিণশিকারিরা।
পরে নৌকা থেকে ৯০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেন সুন্দরবনের খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার কয়রার সুন্দরবনের ছেড়ারখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গহিন বন থেকে উদ্ধার করা হরিণের মাংস নিয়ে লোকালয়ে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস আদালতে আনা হয়েছে। আদালত ভবনের পেছনে গর্ত খোড়া হচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন বনকর্মী। তাঁরা জানালেন, আদালতের নির্দেশে হরিণের মাংস কেরোসিন তেল মাখিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।
সুন্দরবনের খাঁশিটানা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানালেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজন বনরক্ষীকে নিয়ে তিনি সেখানে অভিযান চালান। তবে তাঁদের দেখেই মাংস ফেলে পালিয়ে যান শিকারিরা।
সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাদিকুজ্জামান বলেন, ‘সুন্দরবনের যে এলাকা থেকে হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে, সেটি আমার স্টেশনের আওতাধীন খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির এলাকা। ওই এলাকায় হরিণশিকারিদের উৎপাত বেশি। তবে আগের তুলনায় এখন বন্য প্রাণী শিকার কমে এসেছে। আজও হরিণের মাংস জব্দের ঘটনায় বিকেলে কয়রা জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। হরিণ নিধনে জড়িত ব্যক্তি ও হরিণের মাংস ক্রেতাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’