‘আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সম্পূর্ণ শেষ করতে চেয়ছিল’
Published: 14th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে বিভিন্ন রকম মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিল। জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মীকে এ সময় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’’
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নরসিংদী জেলা জামায়াতের আয়োজনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ডা.
‘‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা অন্যায় করেছে বলেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর একটি দেশ গড়তে হবে। এই বাংলাদেশ সবার। বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও ঐক্য ধরে রাখতে সবসময় জামায়াতে ইসলামী কাজ করবে। আমাদের মূল লক্ষ্যই মানুষের সেবা করা ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকা।’’ বলেন জামায়াতের আমীর।
অধ্যাপক মো: মুছলেউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নিবার্হী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আ.ফ.ম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নরসিংদী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসেন।
উল্লেখ্য, নরসিংদীতে ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো জেলা জামায়াতের জনসভা। জনসভায় প্রায় দেড় লাখ লোকের সমাগম ঘটে।
হৃদয়//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে বিএনপি ও এনসিপির শোডাউন-জনসভা ঘিরে উত্তেজনা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুরাদনগরের রাজনৈতিক মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। শনিবার মুরাদনগরে বিএনপি ও এনসিপি শোডাউন করে জনসভা আহ্বান করেছে। তবে দুই দলের কেউই প্রশাসনের কাছে শোডাউন ও জনসভার অনুমতি চেয়ে লিখিত কোনো আবেদন করেনি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সংঘাতের আশংকায় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
বিএনপি নেতারা বলেন, ১৯ এপ্রিল শনিবার আন্দিকোট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ সামসুল হক কলেজ মাঠে পূর্ব থেকেই জনসভার ডাক দিয়েছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের। জনসভা সফল করতে এলাকায় পোষ্টার সাটানো ও মাইকিং করে চালানো হয়েছে প্রচারণা।
অপরদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনপিসি) নেতারা বলেন, তারাও একই দিনে (শনিবার) একই সময়ে বিএনপির সভাস্থলের পার্শ্ববর্তী আকবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর হাইস্কুল মাঠে বাঙ্গরা দলটির বাজার শাখার উদ্যোগে জনসভার ডাক দিয়েছে। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বাবা মো. বিল্লাল হোসেন মাষ্টারের নামে পোষ্টার সাটানোসহ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বিএনপির সাথে একই দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির জনসভা ডাক দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি নতুন দল। তাদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি তাদেরকে কখনোই প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করে না। মুরাদনগরে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০% ভোট পাবে দাদা কায়কোবাদ।
বিএনপির জনসভার আয়োজনের খরচের উৎস জানতে চাইলে মহিউদ্দিন অঞ্জন সমকালকে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত টাকা এবং দলীয় ফান্ড থেকেই এই জনসভার আয়োজন করা হচ্ছে। এ সময় তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির জনসভার খরচের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, মুরাদনগরে প্রত্যেকটি জায়গা থেকে এখন চাঁদাবাজি করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির লোকজন।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির লোকজনের চাঁদা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মুরাদনগর উপজেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক উবাইদুল হক সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের চাঁদাবাজি আড়াল করতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিচ্ছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার মধ্য দিয়ে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান জানান, জনসভা করার বিষয়ে দুই দলের কারো পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি চাওয়া হয়নি। বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।
অনুমতি না চাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসভা বন্ধ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।