রোহিঙ্গা যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
Published: 14th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার পাহাড়ি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম রহমত উল্লাহ (২২)। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ই-ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ রশিদের ছেলে। আজ শুক্রবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একটি লেকের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানায়, সকালে লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এপিবিএনকে জানায়। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির শরীরে কয়েকটি গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রহমত উল্লাহ ডাকাতি, অপহরণ, খুনসহ নানা অভিযোগে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় করা পাঁচটি মামলার আসামি।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুর্বৃত্তরা রহমত উল্লাহকে তুলে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির–সংলগ্ন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দরুদ পাঠের সওয়াব
আল্লাহর নবীকে (সা.) কেউ সালাম পাঠালে এবং তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করা হলে, তা তাঁর অবিদিত থাকে না। বরং হাদিসে আছে, আল্লাহর অনেক ফেরেশতা জমিনে বিচরণরত আছেন। উম্মতের সালাম তারা নবীজির (সা.) কাছে পৌঁছে দেন (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮১)। এমনকি এক হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) নিজেই সালামের উত্তর দেন। কীভাবে? আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ আমাকে সালাম পাঠালেই আল্লাহ আমার রুহ ফিরিয়ে দেবেন, যেন আমি তার সালামের উত্তর দিতে পারি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২,০৪১)
কেউ আল্লাহর রাসুলের (সা.) নামে দরুদ ও সালাম পাঠালে প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ তাঁর ওপর দশবার দয়া করেন (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪০৮)। নবীজির (সা.)দীর্ঘ দিনের খাদেম আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়বে, আল্লাহ তাকে দশবার রহমত করবেন এবং তার দশটি পাপ ক্ষমা করবেন এবং বেহেশতে তার মর্যাদা দশ স্তর বৃদ্ধি করে দেবেন।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৯৬)
আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫আবু তালহা (রা.) বলেন, একদিন রাসুল (সা.) এলেন। তাঁর চেহারাজুড়ে ছড়িয়ে ছিল খুশির আভা। আমরা বললাম, ‘আপনার চেহারায় খুশির আভা দেখছি, আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘আমার কাছে ফেরেশতা এসে বললেন, ‘মুহাম্মদ(সা.), আপনার প্রতিপালক বলেছেন, ‘এটা কি আপনাকে সন্তুষ্ট করবে না যে, কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পড়লে আমি তাকে দশবার রহমত করব, আর একবার আপনার ওপর শান্তি বর্ষণের প্রার্থনা করলে আমি তার ওপর দশবার শান্তি বর্ষণ করব?’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ১,২৮২)
একইভাবে যারা দরুদ পড়ে না, তাদের বিষয়েও সতর্কতা জানিয়েছেন নবীজি (সা.)। বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক তাঁর, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)
মহানবীর দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কৃপণ তো সে, যার সামনে আমার আলোচনা হয়, অথচ আমার প্রতি দরুদ পড়ে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৬)
আরও পড়ুননামাজের ভেতরে দরুদ পড়ার নিয়ম০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫