সুনামগঞ্জে বাণিজ্য মেলায় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে এবং প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের (১৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে মেলার কার্যক্রম শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ) বাদ জুম'আ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সচেতন তাওহীদী জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ষোলঘর একটি আবাসিক এলাকা, এখানে স্কুল-মাদ্রাসা-মসজিদ রয়েছে। এখানে কোনোভাবেই বাণিজ্য মেলা কাম্য নয়। তবু মেলা হচ্ছে। মেলার আড়ালে চলে অশ্লীল নৃত্য, মাইক ও উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানোয় আশপাশে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। 

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের করা মামলার আসামি যুবলীগ ক্যাডার মেলার আয়োজক। স্বৈরাচারের দোসররা কীভাবে সুনামগঞ্জে এখনও বুক ফুলিয়ে হাঁটে? আমরা শুরু থেকে মেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি তবুও জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে মেলার অনুমোদন দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি তিনি রাখেননি। আজ মেলার শেষ দিন। আমরা আবারও দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি আজ যেনো মেলা বন্ধ করা হয়। 

এ সময় তারা মেলার সময় বাড়ানো হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে লং মার্চ টু মেলা করা হবে। 

মানববন্ধনে বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুফতি আব্দুল হকের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আরিফ রব্বানীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাদানিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়েখ আব্দুল বছির, শহরের পূর্ব বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু সাইদ, তেঘরিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বদরুল আলম প্রমুখ।

মনোয়ার//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আসামির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

এই ঘটনার জেরে গত শনিবার গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা হয় এবং ওই রাতে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।

তবে সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে সরে যান বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ অবস্থানে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে আইন সমিতির মানববন্ধন ও পথযাত্রা কর্মসূচি
  • যুবদল নেতার চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে নদীঘাটে পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন
  • জাহাঙ্গীরনগরে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে বুয়েটে মানববন্ধন
  • কুয়েটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
  • পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন