পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই এলাকায় শ্রমিকদের বহনকারী একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হারনাই এলাকায় যাওয়ার সময় শ্রমিকদের বহনকারী ট্রাকটিতে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এ আঘাত হানে।

দেশটির ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “হারনাই জেলায় এক হামলায় ১০ খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন।”

আরো পড়ুন:

জয়ের পর জরিমানা গুনলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার

পাকিস্তানের নৌ মহড়ায় বাংলাদেশসহ ৬০ দেশ

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা সালিম তারিনও এএফপিকে বলেন, “শ্রমিকরা বাজারে যাওয়ার পথে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।”

আধাসামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “রাস্তার পাশে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস পুঁতে রাখা হয়েছিল। কয়লা খনি শ্রমিকদের বহনকারী ট্রাক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেটি বিস্ফোরিত হয়।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, “এটি দূরবর্তী চালিত ডিভাইস হতে পারে।”

সূত্র: আল জাজিরা

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বহনক র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের অভিযোগ

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের ঘটনায় প্রসীত খিসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।  

জেএসএস-সন্তু লারমা-সমর্থিত পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, বিজু উদ্‌যাপন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমা রয়েছেন। অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অপহরণকারীরা তাঁদের বহনকারী টমটম (অটোরিকশা) চাককেও অপহরণ করেছে। তবে তাঁর নাম জানা যায়নি। এ ঘটনার জন্য নিপুণ ত্রিপুরা ইউপিডিএফ-প্রসীত পক্ষকে দায়ী করেছেন।

পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল রিশান চাকমাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর। কিন্তু বাসে টিকিট না পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করেন তাঁরা। সকাল সাতটার গাড়িতে তাঁদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটমচালককেও অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফ-প্রসীত পক্ষকে দায়ী করছি। তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সব সময় ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’

অপহরণের বিষয়টি পুলিশও স্বীকার করেছে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারেরও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চবির পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। এ ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের অভিযোগ