অপারেশন ডেভিল হান্ট, খাগড়াছড়িতে আরো ১১জন গ্রেপ্তার
Published: 14th, February 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর আওতায় খাগড়াছড়ি জেলা সদর, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, দীঘিনালা, মহালছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলা থেকে ১১জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে খাগড়াছড়িতে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ দিন-রাত অভিযান চালাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো.
পানছড়িতে যুবলীগ নেতা মো. আক্তার হোসেন, মাটিরাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধালীগের সাধারণ সম্পাদক আসামী জাফর উল্যাহ, ছাত্রলীগ নেতা মো. রাসেল ও দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর হোসেন।
ঢাকা/রূপায়ন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ র স উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা
গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি।
বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।
হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।
তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।