অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর আওতায় খাগড়াছড়ি জেলা সদর, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, দীঘিনালা, মহালছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলা থেকে ১১জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে খাগড়াছড়িতে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ দিন-রাত অভিযান চালাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো.

মহব্বত আলী শেখ, ছাত্রলীগের গুইমারা উপজেলা সহ-সভাপতি মো. মহসিন প্রকাশ হৃদয়, মানিকছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, খাগড়াছড়ি পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাহাবুল ইসলাম রাহুল, ছাত্রলীগের কর্মী মো. বেলাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম, মহালছড়িতে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ লাল মিয়া; 

পানছড়িতে যুবলীগ নেতা মো. আক্তার হোসেন, মাটিরাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধালীগের সাধারণ সম্পাদক আসামী জাফর উল্যাহ, ছাত্রলীগ নেতা মো. রাসেল ও দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর হোসেন।

ঢাকা/রূপায়ন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ র স উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন’

জুলাই হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। যাঁদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ নতুন করে স্বাধীন হলো, তাঁদের হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছেন না।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এ কথাগুলো বলেন। তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, ‘এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।’

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের সরকার। কিন্তু তাঁরা শহীদ পরিবারের কষ্ট বুঝতে পারছে না। হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের অনেককেই এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না।’

আক্ষেপ করে শাহিনা বেগম বলেন, ‘কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।’

ভাই হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নাবিল হোসেন। তিনি বলেন, ১৮ জুলাই তাঁর ভাই সোহেল রানা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যার পর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। আজও ভাইয়ের কবর শনাক্ত করতে পারেননি।

নাবিল হোসেন বলেন, ‘আর কোনো আশ্বাস নয়, রায়েরবাজারে যে ১১৪ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শনাক্ত করতে হবে। যাঁরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ