করাচিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বিকেলে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে নামে। বাবর আজম ব্যক্তিগত ২৯ রানে আউট হন। আর এর মধ্য দিয়ে একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
১১তম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৬০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এ যাত্রায় পেছনে ফেলেন বিরাট কোহলিকে। ছুঁয়ে ফেলেন হাশিম আমলার রেকর্ড। আমলা সবচেয়ে কম ইনিংস (১২৩) খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৬০০০ রান করেছিলেন। বাবরও আজ আমলার পাশে বসলেন ১২৩ ইনিংসে ৬০০০ রান করে। যেটা কোহলি করেছিলেন ১৩৬ ইনিংস খেলে।
১২৩ ইনিংসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বাবর ১৯টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৩৪টি। ওয়ানডেতে আর একটি সেঞ্চুরি পেলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ড। যিনি পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
অভিষেকে ১৫০ করে ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড
পাওয়ার প্লে’তে ৯৫ রান তুলে ভারতের রেকর্ড
পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইমজামাম-উল-হক। তিনি ১১ হাজার ৭০১ রান করেছিলেন। এপর মোহাম্মদ ইউসুফ করেন ৯ হাজার ৫৫৪ রান। আর সাঈদ আনোয়ার করেছিলেন ৮ হাজার ৮২৪ রান।
এর আগে বাবর ৫০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন মাত্র ৯৭ ইনিংস খেলে। যা ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড কর ছ ল ন র ন কর র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুততম ১১ হাজারে দ্বিতীয় রোহিত
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র ১০ জন ব্যাটসম্যান ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সেই এলিট ক্লাবের সর্বশেষ সংযোজন রোহিত শর্মা। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বাংলাদেশের বিপক্ষে দুবাইতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে মাঠে নেমে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। আর এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। মাঠে নামার আগে তার রান ছিল ১০ হাজার ৯৮৮।
তবে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করলেও দ্রুততমর দিক দিয়ে রোহিত হলেন দ্বিতীয়। তিনি মাত্র ২৬১ ইনিংস খেলে ১১ হাজার রান করেন। সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ১১ হাজারের মাইফলক ছুঁয়েছিলেন ২০১৯ সালের ১৬ জুন মাত্র ২২২ ইনিংসে। তারটিই এখন পর্যন্ত দ্রুততম।
এছাড়া শচীন টেন্ডুলকার ২০০২ সালে ওয়ানডেতে ১১ হাজার রান করেছিলেন ২৭৬ ইনিংস খেলে। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং করেছিলেন ২৮৬ ইনিংসে।
আরো পড়ুন:
ধ্বংসস্তুপে সেঞ্চুরির ফুল ফোটালেন তাওহীদ, জাকেরের লড়াই ও শামির রেকর্ড
কোহলিকে পেছনে ফেলে শীর্ষে বাবর
দ্রুততম ১১ হাজারি ক্লাবে সদস্য যারা:
ক্রমিক নং | খেলোয়াড় | তারিখ | ইনিংস |
০১ | বিরাট কোহলি (ভারত) | ১৬ জুন, ২০১৯ | ২২২ |
০২ | রোহিত শর্মা (ভারত) | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ২৬১ |
০৩ | শচীন টেন্ডুলকার (ভারত) | ২৮ জানুয়ারি, ২০০২ | ২৭৬ |
০৪ | রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া) | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ | ২৮৬ |
০৫ | সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত) | ২৭ আগস্ট, ২০০৭ | ২৮৮ |
০৬ | জ্যাক ক্যালিস (দ. আফ্রিকা) | ৮ নভেম্বর, ২০১০ | ২৯৩ |
০৭ | কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা) | ২৮ মার্চ, ২০১৩ | ৩১৮ |
০৮ | ইনজামাম-উল-হক (পাকিস্তান) | ১২ ডিসেম্বর, ২০০৫ | ৩২৪ |
০৯ | সনাৎ জয়সুরিয়া (শ্রীলঙ্কা) | ৪ জুলাই, ২০০৬ | ৩৫৪ |
১০ | মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা) | ১৭ জুন, ২০১৩ | ৩৬৮ |
ঢাকা/আমিনুল